ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক

ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি

ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি

লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের সময় জোট নেতাদেও সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাাদিমির জেলেনস্কি । তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা গ্যারান্টির জন্য কিয়েভ ন্যাটোতে যোগ দিতে লড়াই চালিয়ে যাবে। তবে চূড়ান্ত সদস্যপদে একটি সময়সীমা নির্ধারণ না করার জন্য জোটের সমালোচনা করেন জেলেনস্কি। বৈঠকে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি ন্যাটোর বৈঠকে ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কবে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে সে বিষয়ে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে অস্বীকার জানিয়েছে জোটের মিত্র রাষ্ট্রগুলো। ন্যাটো রাষ্ট্রগুলো বলেছে, যখন মিত্ররা সম্মত হবে এবং ইউক্রেন জোটের শর্ত পূরণ করতে পারবে তখনই জোটে যোগ দিতে পারবে। বুধবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

একটি বিবৃতিতে ন্যাটো বলেছে, তারা দ্রুত অগ্রসর হওয়ার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছে। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে না।

ন্যাটো বলেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকা অবস্থায় ইউক্রেন তাদের জোটে যোগ দিতে পারবে না। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেও হবে না।নেতারা লিখিত ঘোষণায় বলেছেন, ‘যখন মিত্ররা সম্মত হবে এবং শর্ত পূরণ করা হবে। তখনই আমরা ইউক্রেনকে জোটে যোগদানের আমন্ত্রণ জানাব। ’

বিবৃতিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ন্যাটো সৈন্যদের সঙ্গে কাজ করার জন্য ইউক্রেনীয় বাহিনীর সক্ষমতার অগ্রগতি দেখতে হবে ন্যাটোকে। সেইসঙ্গে ইউক্রেনের গণতান্ত্রিক ও নিরাপত্তা খাত সংস্কারেরও প্রয়োজন রয়েছে।

এদিকে সামরিক ন্যাটো জোটের সঙ্গে ইউক্রেন কবে নাগাদ যুক্ত হতে পারে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো টাইমলাইন বা সময়সীমা বেঁধে না দেওয়ায় মঙ্গলবার ভিলনিয়াসে একটি সমাবেশে জেলেনস্কি হতাশা প্রকাশ করেন। এছাড়া এমন সম্ভাবনাকে এর আগে তিনি ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।

ইউক্রেনের জন্য মিত্রদের নতুন পরিকল্পনা: ইউক্রেনের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুমোদন করতে যাচ্ছে জোটের সদস্যরা ।ন্যাটো সম্মেলনে জোটের সদস্যরা এই প্রত্যাশার কথা জানান। শিগগিরই এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। দীর্ঘমেয়াদী এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, চুক্তিটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে একটি ‘শক্তিশালী সংকেত’ পাঠাবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ন্যাটোতে যোগদানের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করতে বলার পরই এ ঘোষণাটি এলো। সুনাক বলেছেন, ‘কিয়েভের মিত্ররা দীর্ঘমেয়াদে ইউক্রেনকে রক্ষা করার আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। ’ তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে যা ঘটেছে, আমরা কখনই তার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। এই ঘোষণাটি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে আবারও নিশ্চিত করে যে, রাশিয়া যে ধরনের বর্বরতা চালিয়েছে তার জন্য ইউক্রেনকে কখনও অরক্ষিত রাখা হবে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত