বাবা-মা, সাত সন্তানের জন্মদিন একই তারিখে

আমির আলীর পরিবারের কাছে ১ আগস্ট তারিখটি একটু স্পেশাল। এখানে একটু বলাটাও ভুল হবে, তারিখটি অনেক অনেক বেশি স্পেশাল তাদের জন্য। কারণ এটি আমির আলী ও তার স্ত্রী খুদেজা উভয়ের জন্মদিন। তারা বিয়েও করেছিলেন একই তারিখে। এর পর বিভিন্ন বছরে সাতটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন এ দম্পতি, যাদের জন্মদিনও একই তারিখে। অর্থাৎ, আমির আলীর পরিবারের ৯ সদস্যের জন্মদিনই একই তারিখে, ১ আগস্ট। পাকিস্তানের অদ্ভুত এই ঘটনাটি এরই মধ্যে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবে, একই তারিখে পরিবারের সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্যের জন্মদিন হওয়ার রেকর্ড এখন আমির আলীর পরিবারের দখলে। শুধু তা-ই নয়, সর্বোচ্চ সংখ্যক ভাইবোনের একই তারিখে জন্মদিন হওয়ার রেকর্ডও তাদের।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্যমতে, পাকিস্তানের লারকানা অঞ্চলের পরিবারটিতে রয়েছেন বাবা আমির আলী, মা খুদেজা এবং তাদের ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সি সাত সন্তান। তারা হলেন সিন্ধু, সাসুই, স্বপ্ন, আমির, আম্বার, আম্মার ও আহমার। তাদের মধ্যে সাসুই ও স্বপ্ন যমজ বোন এবং আম্মার ও আহমার যমজ দুই ভাই। তাদের সবার জন্মদিনই ১ আগস্ট। আবার একই তারিখে আমির ও খুদেজার বিয়েবার্ষিকীও। ১৯৯১ সালের ১ আগস্ট বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তারা। এর ঠিক এক বছর পরেই তাদের প্রথম মেয়ে জন্ম নেয়। অদ্ভুতভাবে সেই দিনটিও ছিল ১ আগস্ট। বাবা-মায়ের জন্মদিন ও বিয়েবার্ষিকীতে বড় মেয়ে জন্ম নেওয়ায় বেশ আশ্চর্যই হয়েছিলেন আমির আলী ও খুদেজা। এটিকে ‘আল্লাহর উপহার’ মনে করেছিলেন তারা। কিন্তু তারা ঘুণাক্ষরেও জানতেন না, চমকের সবে মাত্র শুরু। এর কয়েক বছর পরেই একই তারিখে এ দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় প্রথম যমজ সন্তান সাসুই ও স্বপ্ন। এর পর একে একে আরও দুই সন্তান জন্মায় ১ আগস্ট তারিখে। সবশেষ ২০০৩ সালের ১ আগস্ট দ্বিতীয়বার যমজ সন্তান আসে আমির-খুদেজার সংসারে। এর মাধ্যমে আরও একটি বিশ্ব রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তারা। তা হলো একই তারিখে দু’বার যমজ সন্তান জন্ম দেওয়া। বিশ্বে এর আগে মাত্র চারবার এ ধরনের ঘটনার রেকর্ড রয়েছে।

গিনেস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, খুদেজার সব সন্তানই স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ ও জন্ম নিয়েছে। তার কখনোই আগাম ডেলিভারি হয়নি এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কোনো সন্তানকে নির্ধারিত সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ করা হয়নি।