ভারতে পাঁচ মাসে আট আফ্রিকান চিতার মৃত্যু

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ভারতের মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হলো আরো একটি চিতার। এ নিয়ে পাঁচ মাসে ভারতের মাটিতে মৃত্যু হলো আটটি চিতার। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আফ্রিকা থেকে আনা মৃত চিতাটির নাম ছিল সুরজ। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার সকালে কুনোর জঙ্গলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সুরজের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা। গত মঙ্গলবারই আফ্রিকা থেকে আনা সপ্তম চিতা তেজসের মৃত্যু হয়েছিল। তার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লেখা ছিল, চিতাটি ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কিছুদিন আগে জঙ্গলের আরেকটি চিতার সঙ্গে তার লড়াই বাধে। ওই সময় শরীরে একাধিক ক্ষত হয়। ওই লড়াইয়ের রেশ কাটাতে পারেনি তেজস। তারপর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিল আফ্রিকা থেকে ভারতের জঙ্গলে আনা চিতাটি, যা তাকে শারীরিকভাবে আরো দুর্বল করে দেয়। তবে সুরজের মৃত্যুর কারণ কী, তা এখনো জানা যায়নি। এর আগে গত ২৭ মার্চ স্ত্রী চিতা সাশার মৃত্যু হয় কিডনির সমস্যায়। ২৩ এপ্রিল ‘কার্ডিও-পালমোনারি ফেলিওরে’ মৃত্যু হয় উদয়ের। গত ৯ মে অন্য একটি চিতার সঙ্গে মারামারিতে মৃত্যু হয় স্ত্রী চিতা দক্ষের। গত ২৫ মে মৃত্যু হয় দুটি চিতাশাবকেরও। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রো মোদির পরিকল্পনা মেনে আফ্রিকার একাধিক দেশ থেকে চিতা কিনে আনে ভারত।

১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয় কুনোর জঙ্গলে। এ বছর ১২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আসে ভারতে। তেজসের পর এবার সুরজের মৃত্যুতে ভারতের জঙ্গলে পুনরায় চিতা ফিরিয়ে দেওয়ার যে পরিকল্পনা ভারত করেছিল সেটি বড়সড় ধাক্কা খেল। গত মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বনপ্রাণ বিশেষজ্ঞ ভিনসেন্ট ভান ডার মেরওয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন, ভারতে আরো চিতার মৃত্যু হতে পারে। তার দাবি ছিল, অন্য সব দিক ঠিক থাকলেও চিতা যখন নিজের এলাকা চিহ্নিত করবে তখন তাকে মোকাবিলা করতে হবে বাঘ এবং চিতাবাঘের সঙ্গে। সেই লড়াইয়ে বিদেশ থেকে আনা চিতার পেরে ওঠা মুশকিল হবে।