ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ

উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ

উত্তর কোরিয়া দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, সেগুলো কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী সাগরে পড়েছে বলে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। চার দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী একটি সাবমেরিন উপস্থিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পরীক্ষামূলক এ উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং। সিএনএন জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে উত্তর কোরিয়ার সুনান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ছোড়া হয়। দুটো ক্ষেপণাস্ত্রই প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে সাগরে পড়ে, জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস)।

উভয় ক্ষেপণাস্ত্রই জাপানের নিবিড় অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে পড়েছে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। জেসিএস বলেছে, ‘দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষগুলো এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্তারিত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে দেখছে।’ কোরীয় উপদ্বীপ ঘিরে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে উত্তর কোরিয়া এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পারমাণবিক শক্তিধর একটি সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরে উপস্থিত হয় বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এর আগে গত সোমবার এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন ও দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিম ইয়ো জং সতর্ক করে বলেছিলেন, কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনের উপস্থিতি দুই পক্ষের ইতোমধ্যে ফাটল ধরা যোগাযোগের পথগুলোকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া দীর্ঘ পাল্লার অত্যাধুনিক একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। ওই সময় তারা অভিযোগ করে বলে, তাদের সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নজরদারি বিমানগুলো ‘শত্রুতামূলক গোয়েন্দা তৎপরতা’ চালাচ্ছে। এসব বিমান সীমান্ত অতিক্রম করে অনুপ্রবেশ করলে গুলি করে ভূপাতিত করা হবে বলে সতর্ক করে তারা। এ পরিস্থিতিতেই যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণবিক শক্তিধর সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত