মিশে যাবে এশিয়া-আমেরিকা তৈরি হবে বিশাল মহাদেশ!

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা বা দুই আমেরিকা আর আলাদা আলাদা থাকবে না। সব স্থলভাগ জুড়ে গিয়ে একটা সুপার মহাদেশ তৈরি হবে। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে ভূবিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণায়। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন গবেষকদের একাংশ। সম্প্রতি ভূপদার্থবিদ রস মিচেলের লেখা ‘দ্য নেক্সট সুপার কন্টিনেন্ট’ নামের বই প্রকাশিত হয়। সেখানেই পৃথিবীর সব স্থলভাগ জুড়ে যাওয়ার উল্লেখ রয়েছে। সাত মহাদেশ একসঙ্গে জুড়ে গেলে বিশ্ব মানচিত্রের আকার কেমন হবে, তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন গবেষক মিচেল। খবর সায়েন্স নিউজ ও দ্য ইকোনমিক টাইমসের।

বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীর পৃষ্ঠ তৈরির সময় একটিমাত্র স্থলভাগ ছিল, যা মূলত আফ্রিকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। প্রায় ৩০০ থেকে ২০০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীপৃষ্ঠের স্থলভাগের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

মিচেল জানিয়েছেন, প্রাগৈতিহাসিক যুগে একক স্থলভাগে দাপিয়ে বেড়াত অতিকায় ডাইনোসর। কিন্তু পরবর্তীকালে ভাগ হয়ে বিশ্বের সাত জায়গায় ছড়িয়ে যায় স্থলভাগের অংশ। যার জেরে গড়ে ওঠে মহাদেশ। ভূবিজ্ঞানীদের কথায়, পৃথিবীর স্থলভাগের অংশগুলো মোটেই স্থির নয়। বরং তা চলমান। এই প্রসঙ্গে উত্তর আমেরিকা ও গ্রিনল্যান্ডের উদাহরণ দিয়েছেন তারা।

আনুমানিক এক বিলিয়ন বছর আগে এই দুই স্থলভাগ একে অপরের সঙ্গে জুড়ে ছিল। একই কথা কলম্বিয়া ও সাইবেরিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রায় দুই বিলিয়ন বছর আগে আলাদা হয় এই দুই এলাকা। একটি সুপার মহাদেশ থেকে স্থলভাগের অংশগুলি বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি প্রমাণের জন্য গত কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের নমুনা সংগ্রহ করেন ভূবিজ্ঞানীরা। এ ব্যাপারে পাথরের গঠন ও বয়স নির্ধারণকে হাতিয়ার করেছেন তারা। এছাড়া কীভাবে মহাদেশগুলো চলমান অবস্থায় থাকে, তা ব্যাখ্যা করেছেন ভূপদার্থবিদ মিচেল। তার লেখা বই অনুযায়ী, একটি স্থলভাগ তৈরি ও তা ভেঙে যাওয়া কঠিন অথচ নমনীয় ম্যান্টলের আচরণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ম্যান্টল হল ভূত্বকের বিজ্ঞান সম্মত নাম, যা পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে নির্গত হওয়া তাপ সঞ্চয় করে রাখে।

গবেষক মিচেলের দাবি, তাপ সঞ্চয় করতে করতে ম্যান্টলের উষ্ণতা একটা সময় অনেকটা বেড়ে যায়। তখনই এর উপরি পৃষ্ঠের মহাদেশগুলো একটু একটু করে সরতে শুরু করে। তুলনামূলকভাবে শীতল অংশের দিকে এগোতে শুরু করে ওই স্থলভাগ। আর এভাবেই এক মহাদেশের সঙ্গে অন্যটির সংঘর্ষ হয়। আর তারপর স্থলভাগ জুড়ে গিয়ে তৈরি হয় সুপার মহাদেশ।