সুদানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত

* ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন * এর মধ্যে চারজনই সামরিক সদস্য

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

সুদানের বন্দরনগরী পোর্ট সুদানে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। দেশটির সেনাবাহিনী গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পোর্ট সুদান বিমান বন্দরে বেসামরিক আন্তোনভ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে চারজনই সামরিক সদস্য। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে এক শিশু ওই বিমান দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে গেছে। সুদানে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এর মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটল। একদিন আগে দেশটির দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হওয়ার পর এ রকম সহিংসতা আর দেখা যায়নি। দেশটিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম পূর্ব উপকূলে অবস্থিত লোহিত সাগর রাজ্যের পোর্ট সুদান। অন্য সব বিমান বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলেও পোর্ট সুদান বিমানবন্দর এখনও চালু আছে। প্রয়োজনীয় বিদেশি সহায়তার জন্য ওই শহরটি এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে সুদানের প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদের মধ্যে ক্ষমতার জন্য লড়াই শুরু হয়। সশস্ত্র দুই বাহিনীর সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষ সুদান ছেড়ে পালিয়েছে। দেশটির ভেতর বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও তিন লক্ষাধিক বাসিন্দা। দ্রুত এ সংঘাতের সমাপ্তি না হলে ‘সর্বাত্মক বিপর্যয়’ নেমে আসবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়ে দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াই চলছে।

দেশটির বর্তমান সামরিক সরকার চলছিল মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে ছিলেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি দাগালো। বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা ছিল। কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য নিজেদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এর পর তা সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নেয়।