ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভারতের উদ্বেগ

দুই দিনে মণিপুরে ঢুকল মিয়ানমারের ৭ শতাধিক নাগরিক

দুই দিনে মণিপুরে ঢুকল মিয়ানমারের ৭ শতাধিক নাগরিক

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে প্রবেশে করেছে মিয়ানমারের ৭ শতাধিক নাগরিক। পরপর দু’দিনে এসব মানুষ মণিপুরে প্রবেশ করে এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা এসব নাগরিকের কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। ভারতের এই রাজ্যটি দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সহিংসতায় বিপর্যস্ত এবং সেখানেই একসঙ্গে মিয়ানমারের বিপুল সংখ্যক নাগরিক প্রবেশ করায় উঠেছে প্রশ্ন। গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২২ ও ২৩ জুলাই মাত্র দুই দিনে মিয়ানমারের কমপক্ষে ৭১৮ জন নাগরিক ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে প্রবেশ করেছে। গত সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতেও বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাত্র দুই দিনে কীভাবে মিয়ানমারের অন্তত ৭১৮ জন নাগরিককে ‘যথাযথ ভ্রমণ নথিপত্র ছাড়াই’ ‘ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলো’, সে বিষয়ে আসাম রাইফেলসের কাছে একটি বিশদ প্রতিবেদন চেয়েছে মণিপুর সরকার। এনডিটিভি বলছে, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এই বিবৃতির তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এই বিবৃতিতে আসাম রাইফেলসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তাদের নজরদারি সত্ত্বেও দুই মাস ধরে জাতিগত সহিংসতার কারণে মণিপুরে বিরাজমান উত্তেজনার মধ্যে মাত্র দুই দিনে সাত শতাধিক বার্মিজ নাগরিক ভারতে প্রবেশ করতে সক্ষম হলো।

এছাড়া মণিপুর রাজ্য সরকার নিজেই উদ্বিগ্ন যে, মিয়ানমারের এসব নাগরিক ভারতে পাড়ি জমানোর সময় তাদের সঙ্গে অস্ত্র ও গোলাবারুদ এনেছে কি-না তা জানার কোনো উপায় নেই। বিষয়টি সম্পর্কে প্রত্যক্ষভাবে জানেন এমন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি পরিচয় প্রকাশ না করে এনডিটিভিকে একথা জানিয়েছেন। মণিপুর স্বরাষ্ট্র বিভাগ গত সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৭১৮ জন শরণার্থী নতুন করে ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করেছে এবং গত ২৩ জুলাই চান্দেল জেলা হয়ে মণিপুরে প্রবেশ করেছে বলে ২৮ সেক্টর আসাম রাইফেলসের সদরদপ্তর জানিয়েছে।

মণিপুরের মুখ্য সচিব ড. বিনীত জোশীর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈধ ভিসা বা ভ্রমণের নথিপত্র ছাড়াই মিয়ানমারের নাগরিকদের মণিপুরে প্রবেশে বাধা দিতে এবং প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে সীমান্তরক্ষী বাহিনী আসাম রাইফেলসকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল মণিপুর সরকার। এনডিটিভি বলছে, মণিপুর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে, তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে এখনও অনেক সময় লাগবে। গত ৩ মে থেকে শুরু হওয়া জাতিগত সহিংসতায় দেড়শ’ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইন্টারনেটবিহীন অবস্থায় রয়েছে মণিপুর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত