অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা পড়ে ৫০ তিমির মৃত্যু

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন অ্যালবানির পূর্বের চেনেস সমুদ্রসৈকতের দীর্ঘ এলাকাজুড়ে প্রায় ১০০টি তিমি এক সারিতে অবস্থান নেয় এর আগে গত মঙ্গলবার তারা সমুদ্রসৈকতে চলে আসে। প্রাণরক্ষার জন্য তাদের সাগরে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তবে, ৫০টি তিমি এরই মধ্যে মারা গেছে।

বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া তিমি কখনো তীরে আসে না স্বাভাবিক অবস্থায় সলিল সমাধিই হয় তাদের সাগরের জলরাশি ছেড়ে তিমির তীরে এসে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকা মানে অবধারিত মৃত্যু? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় ১০০টি তিমি নানান চাপে কাহিল বা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল দল বেঁধে তীরে এসে আটকে পড়ে তারা শত চেষ্টাতেও সাগরে ফেরানো যাচ্ছে না তাদের? ৫০টি তিমি এরই মধ্যে মারা গেলেও বাকিদের সাগরে ফেরাতে চেষ্টা করা হচ্ছে?ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োডাইভার্সিটি, কনজার্ভেশন অ্যান্ড অ্যাট্রাকশনের কর্মীরা গত মঙ্গলবার দিনগত রাতেই সৈকতে তাঁবু খাটিয়ে তিমিদের রক্ষার চেষ্টা শুরু করেন? তাদের সঙ্গে যোগ দেন পার্থ চিড়িয়াখানার সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

তিমি-রক্ষার বিশেষ দলকে সহায়তা করতে শত শত স্থানীয় মানুষও এসেছেন ফলে সমুদ্রসৈকতে দেখা দেয় বিশাল জনসমুদ্র ভিড় কমানোর জন্য স্থানীয়দের ওই এলাকা থেকে একটু দূরে যাওয়ার অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ? তবে, এত মানুষের চেষ্টাতেও তিমিদের সাগরে ফেরানো যাচ্ছে না? ৫০টি তিমি এরই মধ্যে ডাঙায় এসে মারা গেছে? বাকিদের প্রাণরক্ষার একমাত্র উপায় তাদের সাগরে ফেরানো? পশুচিকিৎসক এবং সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞদের দল সেই চেষ্টাই করছেন। কিন্তু তাদের কোনো চেষ্টাতেই তিমিরা এখনও সাড়া দেয়নি অস্ট্রেলিয়ায় এর আগেও সাগর থেকে তিমিরা দল বেঁধে ডাঙায় চলে এসেছে? নিউজিল্যান্ডেও তিমিদের মাঝে এমন প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রায় ৫০০ তিমি নিউজিল্যান্ডের চ্যাথাম দ্বীপের সৈকতে চলে এসেছিল সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বাইরেও তিমিদের মাঝে এমন প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে গত সপ্তাহে ৫৫টি তিমি স্কটল্যান্ডের আউটার হেব্রিডসের প্রত্যন্ত দ্বীপ আইল অব লুইসে চলে এসেছিল পরে ঢেউ এসে তাদের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।