ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ রোপণের ঘোষণা সৌদির

৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ রোপণের ঘোষণা সৌদির

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় লোনা পানি ও আবহাওয়া সহনশীল (ম্যানগ্রোভ) বিভিন্ন প্রজাতির ৫ কোটি গাছ রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। বিশেষ সরকারি প্রকল্প রেড সি গ্লোবালের (আরএসজি) বরাত দিয়ে গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)। গাছ রোপণের জন্য পশ্চিম উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সৌদির এই উপকূলটি লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত।

এসপিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম এই বনায়ন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় চারা উৎপাদনে একটি নার্সারিও এরইমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। স্থলভাগের অধিকাংশ গাছপালা সামুদ্রিক পানি ও লোনা আবহাওয়া সহ্য করতে না পারলেও ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছপালা খুব সহজেই এই পরিবেশে ভালোভাবে টিকে থাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, লোনা পানির নিয়মিত জোয়ারভাটা ব্যতীত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের টিকে থাকা অসম্ভব। বাতাস থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস শোষণের ক্ষমতা ম্যানগ্রোভ গাছের বেশি। সাধারণ গাছপালার চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত কার্বন শোষণের ক্ষমতা রাখে ম্যানগ্রোভ গাছ। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের ভূমিক্ষয় রোধ এবং বাস্তুসংস্থান রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল।

আরএসজির শীর্ষ নির্বাহী জন পাগানো স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাতাস থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ, উপকূলীয় অঞ্চলের ভূমিক্ষয় রোধ এবং সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান রক্ষার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, অদূর ভবিষ্যতে মানবসৃষ্ট এই বনাঞ্চল দেশি-বিদেশি পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করবে।’ উল্লেখ্য, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে আরএসজি গঠন করেছিলেন। এই প্রকল্প গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল নয় এবং সৌদি আরবের জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খায়- এমন সব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা। আরএসজি শতভাগ সরকারি প্রকল্প। অর্থাৎ এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ তহবিল আসে সৌদি সরকার থেকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত