ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নাইজারে অভ্যুত্থান

স্ট্যান্ডবাই ফোর্সকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ

স্ট্যান্ডবাই ফোর্সকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ

নাইজারের অভ্যুত্থানকারী সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে স্ট্যান্ডবাই ফোর্সকে প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব আফ্রিকার ১৫ সদস্যের অর্থনৈতিক জোট ইকোয়াস। গত বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন জোটের নেতারা। এতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ২৬ জুলাই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে অবরুদ্ধ করে ক্ষমতা দখল করে নাইজারের জান্তা। এরপর ৬ আগস্টের মধ্যে ক্ষমতা ছাড়তে তাদের সময় বেঁধে দিয়েছিল ইকোয়াস। কিন্তু সেটির তোয়াক্কা করেনি তারা। এরপর গত বৃহস্পতিবার আবারো ইকোয়াস বৈঠকে বসে। এই বৈঠকে নাইজারে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় পুনঃস্থাপন করতে ফের নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ইকোয়াস। তবে প্রথমেই সামরিক অভিযান পরিচালনার আগে শান্তিপূর্ণভাবে এ সমস্যা সমাধানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে তারা। নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইকোয়াস ও নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু। তিনি বৈঠকে বলেন, ‘কোনো পরিকল্পনাই বাদ দেওয়া হয়নি। যার মধ্যে সামরিক অভিযানের বিষয়টিও রয়েছে। আমি আশা করি আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নাইজারে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব।’ বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে ইকোয়াসের সব সদস্যকে তাদের স্ট্যান্ডবাই ফোর্সকে তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি আঞ্চলিক বাহিনীকে একত্রিত করতে কয়েক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। এরমাধ্যমে মূলত আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ইকোয়াসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি এই বাহিনীর অর্থায়ন কোথা থেকে আসবে, কোন কোন দেশ অংশ নেবে, কতজন সেনা থাকবে অথবা কী ধরনের অস্ত্র নিয়ে তারা এতে অংশ নেবে। তবে নাইজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ইকোয়াসের মধ্যেই বিভেদ রয়েছে। জোটের বহিস্কৃত দুই দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসো হুমকি দিয়েছে নাইজারের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো হলে তারা ইকোয়াসের বিরুদ্ধে যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত