২৭ প্রাণহানির পর থামল লিবিয়ার সংঘর্ষ

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে দুই শক্তিশালী সশস্ত্র উপদল চলতি বছরের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিল, কিন্তু এক পক্ষ একজন কমান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার পর গোলাগুলি বন্ধ হয়েছে। এই কমান্ডারের আটককে কেন্দ্র করেই গত সোমবার রাতে এ লড়াই শুরু হয়েছিল। ত্রিপোলির স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার দিনের অধিকাংশ সময়জুড়ে চলা এ সহিংসতায় ২৭ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।

তবে হতাহতদের মধ্যে যোদ্ধা এবং বেসামরিকরাও রয়েছেন কি না তা পরিষ্কার করেনি তারা। বিশেষ প্রতিরোধ বাহিনী ও ৪৪৪ ব্রিগেড ত্রিপোলির সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি সামরিক বাহিনী, তাদের লড়াই রাজধানীর প্রায় সব এলাকাকে কাঁপিয়ে তুলেছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত মঙ্গলবার দিনের অধিকাংশ সময়ই শহরের কয়েকটি অংশের ওপর ঘন ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। সঙ্গে শোনা যাচ্ছিল ভারি অস্ত্র থেকে ছোড়া একটানা গুলির আওয়াজ। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে লড়াই ছড়িয়ে পড়েছিল। ত্রিপোলির মিতিগা বিমানবন্দর এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী বিশেষ প্রতিরোধ বাহিনী ৪৪৪ বিগ্রেডের কমান্ডার মাহমুদ হামজাকে আটক করলে গত সোমবার রাত থেকে দুপক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। ভ্রমণের উদ্দেশে হামজা মিতিগা বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ার পর প্রতিপক্ষ তাকে আটক করেছিল। বিশেষ প্রতিরোধ বাহিনী কয়েক বছর ধরেই ত্রিপোলির প্রধান সশস্ত্র উপদল হিসেবে সক্রিয়া আছে। মিতিগা বিমানবন্দর ও পূর্বাঞ্চলমুখি প্রধান মহাসড়কের একটি অংশসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকাগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। অপরদিকে ত্রিপোলির বিশাল এলাকাসহ রাজধানীর দক্ষিণের এলাকাগুলো ৪৪৪ ব্রিগেডের নিয়ন্ত্রণে আছে। হামজা বিশেষ প্রতিরোধ বাহিনীর সাবেক একজন কর্মকর্তা। বিভিন্ন সশস্ত্র পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে একসময় প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানিয়েছেন, ত্রিপোলির আরেকটি উল্লেখযোগ্য সশস্ত্র উপদল স্টেবিলাইজেশন সাপোর্ট অ্যাপারেটাস তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর রাস্তায় সামরিক যান ও যোদ্ধা প্রস্তুত করে রেখেছিল, কিন্তু এ সংঘাতে যোগ দেয়নি তারা।