সামরিক ক্ষেত্রে চীনের যুগান্তকারী আবিষ্কার

প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

প্রযুক্তির হাত ধরে সামরিক খাতকে শক্তিশালী করতে নানা আবিষ্কার করছে চীন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশটির নৌবাহিনী যুগান্তকারী এক আবিষ্কারের দাবি করেছে। চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের (সিএএস) গবেষকরা সম্প্রতি একটি অতি-সংবেদনশীল ‘ম্যাগনেটিক ডিটেক্টর’ (চুম্বকীয় পদার্থ যা ধাতু চিহ্নিত করতে পারে।) আবিষ্কার করার দাবি করেছে। এই আবিষ্কারকে ‘যুগান্তকারী’ বলে মনে করছেন তারা।

সিএএস জানিয়েছে, এই শক্তিশালী ‘ম্যাগনেটিক ডিটেক্টর’ অনেক দূরে থাকা উন্নত ডুবোজাহাজ সহজেই শনাক্ত করতে পারবে। চীনা গবেষকদের এই ‘যুগান্তকারী’ আবিষ্কারের কথা সম্প্রতি ‘জার্নাল অব শিপ রিসার্চ (জেএসআর)’ নামে এক গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। খবর আনন্দবাজারের। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের নতুন এই ‘ম্যাগনেটিক ডিটেক্টর’ ডুবোজাহাজ শনাক্ত করতে পারবে সহজেই। ডুবোজাহাজের গতিবিধিতেও নজর রাখা যাবে নতুন এই যন্ত্রের মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনা গবেষকদের এই গবেষণা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে সমুদ্রে অন্য দেশের জাহাজ, ডুবোজাহাজে নজরদারিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারে চীন। এছাড়া এটি যদি দূরে থাকা ডুবোজাহাজের গতিবিধি শনাক্ত করতে পারে, তাহলে সমুদ্রপথে চীনের নজর এড়িয়ে চলা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সিএএস এর গবেষকরা তাদের আবিষ্কার নিয়ে আশাবাদী।

তাদের আবিষ্কারেই সমুদ্রপথে চীন সফলতার শিখরে পৌঁছবে বলে মনে করছেন তারা। কীভাবে অন্যদেশের ডুবোজাহাজ শনাক্ত করবে চীনের এই ম্যাগনেটিক ডিটেক্টর? পরমাণু চালিত ডুবোজাহাজগুলো দ্রুত গতিতে চলার সময় এক ধরনের প্রায় অদৃশ্য বুদবুদ তৈরি হয়। যা খালি চোখে চেনা কঠিন। ডুবোজাহাজ গতি বাড়ালে বুদবুদের সংখ্যাও বাড়ে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই বুদবুদই শনাক্ত করতে পারবে তাদের তৈরি ম্যাগনেটিক ডিটেক্টরটি।

ডুবোজাহাজ শনাক্তকরণের মূলত পদ্ধতি দুই ধরনের। সেগুলো হলো- ‘ক্যাভিটেশন’ এবং ‘ম্যাগনেটিক অ্যানোমালি ডিটেকশন (এমএডি)’। ‘ক্যাভিটেশন’ কাজ করে পানির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় ডুবোজাহাজের প্রপেলার এবং মধ্যবর্তী অংশ দ্বারা বুদবুদগুলো তৈরি এবং ভেঙে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে।