ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে চলা দ্বন্দ্বে চলতি বছর এ পর্যন্ত ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইলে নিহত হয়েছে ৩০ জন। যা গত বছরের সংখ্যাকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে। বছরের হিসাবের তুলনায় যা ২০০৫ সালের পর সর্বোচ্চ। মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করা জাতিসংঘের দূত গত সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন। টর ওয়েনেসল্যান্ড জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত আরো বাড়বে। কারণ ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে মরিয়া। এজন্য ক্রমাগতভাবে তাদের মূল্য দিতে হচ্ছে। ওয়েনেসল্যান্ড বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যদিও ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন আলাদাভাবে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এতে কোনো কাজ হবে না। কারণ তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। শান্তির পথে বড় বাধা হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন অবৈধভাবে ইহুদিদের বসতি সম্প্রসারণ করা, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের বসতি উচ্ছেদ এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি প্রশাসন ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলে ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল বাহিনী। একই সঙ্গে আছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র বাহিনী। ওয়েনেসল্যান্ড বলেন, বর্তমানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অর্থ সংকটের কারণে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থাও পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা দিতে পারছে না। জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড উভয় পক্ষকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি দুই পক্ষকে আলোচনা করার আহ্বান জানান এবং এক্ষেত্রে জাতিসংঘ সহযোগিতা করবে। এছাড়া ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনে নিযুক্ত সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার ডেপুটি রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি কাউন্সিলকে বলেন, ইসরাইল একের পর এক অবৈধভাবে ফিলিস্তিনি বসতি সরিয়ে যেভাবে ইহুদি বসতি স্থাপন করছে তাতে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার পদ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনি ইসরাইলের বসতি সম্প্রসারণের অভূতপূর্ব গতিকে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ অবস্থায় তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে এ বছরের মধ্যেই ফিলিস্তিনে সফর করার আহ্বান জানান এবং শান্তি আলোচনায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাশিয়াকে ঐক্যবদ্ধের কথা বলেন। সূত্র: আরব নিউজ