অস্ট্রিয়ার হলস্ট্যাট পর্যটকের ভিড়ে অতিষ্ঠ হয়ে শহরবাসীর বিক্ষোভ

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

শহরের বাসিন্দা মাত্র ৭০০ জনের কিছু বেশি। অথচ পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন এ শহরে ভিড় জমান অন্তত ১০ হাজার পর্যটক। আর এতেই অতিষ্ঠ হয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, প্রতিদিন শহরটিতে ঠিক কতজন পর্যটক আসতে পারবেন, তা নির্ধারিত করে দিতে হবে। ঘটনাটি অস্ট্রিয়ার ঐতিহাসিক শহর হলস্ট্যাটের, যা একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটও। ইউরোপের সবচেয়ে পুরনো গ্রাম ও বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর এ জনপদ সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় গন্তব্য।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা তাদের শহরে প্রতিদিন কত সংখ্যক পর্যটক আসতে পারবেন, সেই সংখ্যা সীমাবদ্ধ করে দিতে ও স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার পরে পর্যটকবাহী বাস শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। যদিও অধিক সংখ্যক পর্যটক হলস্ট্যাটের অর্থনীতির জন্যই ভালো, তারপরও শহরের কিছু স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, এখানে এখন খুব বেশি পর্যটক আসছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি পর্যটন হটস্পট হয়ে উঠেছে। ২০০৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি রোমান্টিক নাটকে অস্ট্রিয়ার এ শহরটি দেখানো হয়েছিল। এরপর থেকেই এশিয়াতে শহরটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। আর তার ছয় বছর পরে চীনে হলস্ট্যাট শহরের একটি প্রতিরূপও তৈরি করা হয়। এভাবেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ঐতিহাসিক এ শহরের নাম। করোনা মহামারি শুরুর এক বছর আগে এ শহরে প্রায় ১০ লাখ পর্যটক ঘুরতে যান। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মে মাসে শব্দ দূষণ ও বাইরে থেকে প্রচুর গাড়ি আসার প্রতিবাদে হলস্ট্যাটের বাসিন্দারা সেলফি তোলার জন্য শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গাটিতে একটি কাঠের প্রাচীর তৈরি করে দেয়। এতে সেখান থেকে আল্পস পর্বতের দৃশ্য দেখার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির পর সেই প্রাচীর সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন শহরের মেয়র বলেছিলেন, হলস্ট্যাটের মধ্য দিয়ে যাওয়া বাসের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে ফেলতে চান তিনি।