গ্রিসে বন্যায় ১০ জনের প্রাণহানি

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গ্রিসের মধ্যাঞ্চলে চলমান বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো চার বাসিন্দা। উদ্ধারকর্মীরা হেলিকপ্টার ও নৌকায় করে শত শত মানুষকে প্লাবিত গ্রাম থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি-ঝড়ের কারণে সৃষ্ট বন্যা প্রতিবেশী বুলগেরিয়া এবং তুরস্কেও আঘাত হানে, গত মঙ্গলবার বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে তিনটি দেশেই মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন। গ্রিসে, বৃষ্টির ঝড় স্রোতকে প্রচণ্ড প্রবাহে পরিণত করেছে যা বাঁধ ফেটে গেছে, রাস্তা ও সেতু ভেসে গেছে এবং সমুদ্রে গাড়ি ছুড়ে দিয়েছে এবং প্লাবিত এলাকাগুলোর অনেক বিদ্যুৎ বা পানীয়জল ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, কিছু অঞ্চলে মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে এথেন্সের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। গ্রিসে গত ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটির কৃষিপ্রধান থেসালির ছোট ছোট বাড়িঘরগুলো ভেসে গেছে ও রাস্তাঘাটগুলো জলপথে পরিণত হয়েছে। নদীগুলো ফুলে-ফেঁপে উঠেছে, বাঁধগুলো এবং সেতুগুলো ভেঙে গেছে। গ্রিসের জলবায়ু সংকট ও নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী ভ্যাসিলিস কিকিলিয়াস গত শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঝড়ের কারণে মধ্য গ্রিসে দশজন মারা গেছে এবং আরো চারজন বিশেষভাবে ভোলোস এবং মাউন্ট পিলিওতে নিখোঁজ রয়েছে।’ মন্ত্রী বলেন, কর্তৃপক্ষ গ্রিসের লরিসার পিনিওস নদী সম্পর্কে সতর্ক রয়েছে, যার উপচেপড়া বন্যা এরই মধ্যে ইয়ানোউলি গ্রাম এবং টাইরনাভোস শহরকে প্রভাবিত করেছে। লরিসার অংশগুলোও প্লাবিত হয়েছে।

বন্যার ঘটনা আরো তীব্র হতে পারে বলে ধারণা করছেন মন্ত্রী।’ বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত লোকালয়। প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছে যানবাহন। সংযোগ সেতু ও রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। সে কারণে দুর্গত এলাকায় আটকেপড়াদের উদ্ধারে ব্যবহৃত হচ্ছে রাবারের নৌকা ও হেলিকপ্টার। প্রতিবেশী তুরস্ক আর বুলগেরিয়াতেও হচ্ছে প্রবল বন্যা। দেশগুলোয় প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। গত মাসে গ্রিসের একাংশ পুড়ছিল ভয়াবহ দাবানলে। কমপক্ষে ২০ জনের প্রাণ যায়। ভস্মীভূত হয় ৩ লাখ ৪০ হাজার একর বনভূমি। এখন এলো বন্যা।