খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে কানাডায় গণভোট

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ভারতের আপত্তি উপেক্ষা করে খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে কানাডায় গণভোটের আয়োজন করে কট্টরপন্থি গোষ্ঠী ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক স্তরে আপত্তি জানানো হলেও, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চায়নি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থি সংগঠন এসএফজে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের গুরু নানক সিংহ গুরুদ্বারে গত সপ্তাহে ওই খলিস্তানপন্থি গণভোটের আয়োজন করেছিল। কানাডায় বসবাসকারী প্রায় সাত হাজার শিখ তাতে অংশ নিয়েছিলেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ওই গণভোটে হাজির ছিলেন এসএফজের প্রতিষ্ঠাতা গুরুপতবন্ত সিংহ পান্নুন।

গত বছরের নভেম্বরে কানাডার অন্টারিওতে জমায়েত এবং গণভোটের ডাক দিয়েছিল কট্টরপন্থি গোষ্ঠী ‘শিখস ফর জাস্টিস’। সেই উদ্যোগকে সরাসরি ‘জঙ্গি কার্যকলাপ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল নয়াদিল্লি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো কূটনৈতিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সে দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারত বিভাজনের চেষ্টা শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কিন্তু তারপরও আয়োজিত হয়েছিল গণভোট। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এসএফজে-কে ‘আন ল’ফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ (ইউএপিএ) আইনের আওতায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ভারত। সংগঠনের প্রধান গুরুপতবন্তের বিরুদ্ধে ভারতের ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন ইন্টারপোল খারিজ করে দেয়। এর পরেই ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ গোষ্ঠী কানাডায় গণভোটের আয়োজনের জন্য নতুন উদ্যমে তৎপরতা শুরু করে।

২০২০ সালে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারেও স্বাধীন ও সার্বভৌম খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে বড় জমায়েত করেছিল এসএফজে। নয়াদিল্লি বারবার লিখিত এবং মৌখিক অনুরোধ করা সত্ত্বেও ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সরকার নিষিদ্ধ করেনি ভারতবিরোধী ওই সমাবেশকে।