সদ্য সমাপ্ত জি-২০ সম্মেলনে বিশ্বনেতা ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় নিরলস কাজ করেছেন ভারতীয় পুলিশ বাহিনী। তাদের সেই পরিশ্রমের স্বীকৃতি দিতে দিল্লি পুলিশের বিভিন্ন স্তরের সদস্যদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী সচিবালয় সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, এ সপ্তাহে দিল্লি পুলিশের প্রায় ৪৫০ জন সদস্যের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জি-২০ সম্মেলনস্থল ভারত মণ্ডপমে ওই নৈশভোজের আয়োজন করা হবে। খবরে বলা হয়, সরকার প্রধানের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।
এদিকে ওই নৈশভোজে কারা উপস্থিত থাকবেন সে জন্য তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় আরোরা পুলিশ সদস্যদের তালিকা চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে। অন্যদিকে সফলভাবে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ এর শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করেছে ভারত। দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে গত ৯-১০ সেপ্টেম্বরএ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধানরা নয়াদিল্লিতে গিয়েছিলেন।
দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত ‘দিল্লি ঘোষণাপত্র’কে ভারতের কূটনৈতিক বিজয় এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রভাব হিসাবে দেখা হচ্ছে। তবে সম্মেলনের কয়েক দিন আগেও এ ঘোষণাপত্র নিয়ে শঙ্কা ছিল। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আগের সম্মেলনে রাশিয়ার বিষয়ে যে কঠোর ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছিল এবারও যদি তার ধারাবাহিকতা না থাকে তবে বেঁকে বসতে পারে পশ্চিমারা, একদিকে ছিল এমন শঙ্কা।
অন্যদিকে ওই ধরনের ভাষা ব্যবহার করলে বেঁকে বসবে রাশিয়া। ভারত ইউক্রেন যুদ্ধের অত্যন্ত জটিল ইস্যু পাশে রেখেই একটি যৌথ বিবৃতি জারি করতে সক্ষম হয়েছে, যা ইউক্রেন ব্যতীত সব পক্ষ স্বাগত জানিয়েছে।