ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কানাডায় এবার আরেক শিখ নেতাকে গুলি করে হত্যা

কানাডায় এবার আরেক শিখ নেতাকে গুলি করে হত্যা

চলমান উত্তেজনার মধ্যেই কানাডায় এবার আরেক শিখ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলায় সুখদুল সিং নামে খালিস্তানপন্থি ওই নেতা নিহত হন। তিনি সুখা দুনেকি নামেও পরিচিত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। সুখদুল সিং কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি কানাডার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালিস্তানি ‘সন্ত্রাসী’ সুখদুল সিং নিজ দলের প্রতিপক্ষের সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। তিনি ভারতের পাঞ্জাবের জেলা শহর মোগার ‘ক্যাটাগরি এ’ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন, যিনি ২০১৭ সালে জাল পাসপোর্টে কানাডায় পালিয়ে যান। খালিস্তানপন্থি নেতা অর্শদীপ দাল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন সুখদুল সিং। এছাড়া গত বুধবার ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা এনআইএ খালিস্তান এবং কানাডার সঙ্গে সম্পৃক্ত ৪৩ জন ‘গ্যাংস্টারের’ যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানেও নাম রয়েছে সুখদুল সিংয়ের। শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ভারত ও কানাডার প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের মধ্যেই আরেক শিখ নেতাকে হত্যার এই ঘটনা ঘটল। এর ফলে দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ আরো বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এরই মধ্যে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। চলতি বছরের জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি শিখ মন্দিরের বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন হারদ্বীপ সিং নিজ্জার। ভারতে শিখদের আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবির আন্দোলনের অন্যতম বড় নেতা ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হারদ্বীপ। ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কানাডার পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টি ট্রুডো। এ সময় ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শিখ নেতাকে হত্যার অভিযোগ তোলেন তিনি। ট্রুডো জানান, কানাডার গোয়েন্দারা হারদ্বীপ হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ পেয়েছেন। একই সঙ্গে কানাডার ভেতর নিজ দেশের নাগরিকের হত্যার পেছনে বিদেশি কোনো সরকার জড়িত থাকলে তা সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত বলেও মন্তব্য করেন ট্রুডো। এর পরই অটোয়ায় নিযুক্ত ভারতের এক শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা সরকার। প্রথমে তার পরিচয় জানা না গেলেও পরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, যাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তিনি কানাডায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (র) প্রধান ছিলেন। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই পাল্টা ব্যবস্থা নেয় নয়াদিল্লি। ভারতে নিযুক্ত কানাডার শীর্ষ এক কূটনীতিককে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে নয়াদিল্লি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় মোদি সরকার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত