ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উত্তেজনার মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র তৎপরতা বাড়াল তিন পরাশক্তি

উত্তেজনার মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র তৎপরতা বাড়াল তিন পরাশক্তি

ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বারবার আলোচনায় আসছে পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি। এরই মধ্যে জানা গেল সাম্প্রতিক বছরে নিজ নিজ পারমাণিক পরীক্ষাকেন্দ্র ঘিরে তৎপরতা বাড়িয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তিন দেশই নির্মাণ করেছে নতুন পরীক্ষাকেন্দ্র ও টানেল। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত বেশ কিছু বিশেষ ছবি বিশ্লেষণ করে গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। সিএনএন বলেছে, শিগগিরই নতুন করে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র বা চীন পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে, এমন তথ্য-প্রমাণ নেই।

তবে তিন দেশই সম্প্রতি তাদের তিনটি পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্র সম্প্রসারণ করেছে। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর একটি চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে, রাশিয়ার আর্কটিক মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জে একটি এবং অন্যটি যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা মরুভূমিতে। মিডলবেরি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জেমস মার্টিন সেন্টার ফর নন-প্রলিফারেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জেফরি লুইস বলেন, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা যায়, গত ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে পাহাড়ের নিচ দিয়ে নতুন টানেল, রাস্তা, অস্ত্রাগার নির্মাণের পাশাপাশি পরীক্ষাকেন্দ্রে গাড়ির যাওয়া-আসা বেড়েছে।

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ করতে ১৯৯৬ সালের সিটিবিটি চুক্তি করা হয়। এই চুক্তি রাশিয়া অনুমোদন করলেও এখনো যুক্তরাষ্ট্র ও চীন করেনি। এরপরও এ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর কোনো পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালায়নি মস্কো, বেইজিং ও ওয়াশিংটন। জেফরি লুইস বলেন, তবে সত্যিই এমন অনেক ইঙ্গিত রয়েছে যে, রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু পরীক্ষা আবার শুরু করতে পারে। তিন পরাশক্তির পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্রের এসব স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করেছেন মার্কিন বিমান বাহিনীর সাবেক কর্নেল ও গোয়েন্দা বিশ্লেষক সেড্রিক লেইটনও।

বিশ্লেষণের পর তিনিও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এটা খুবই স্পষ্ট- এই তিন দেশ শুধু তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার আধুনিক করতে প্রচুর সময়, প্রচেষ্টা ও অর্থ ঢালছে না। এসব অস্ত্র পরীক্ষা ঘিরেও তৎপরতা জোরদার করেছে তারা। বিশ্লেষকরা বলেছেন, বর্তমানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিং ও মস্কোর সম্পর্ক বেশ শীতল। এ পরিস্থিতিতে তিন দেশের এমন তৎপরতা পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের প্রতিযোগিতা বাড়াতে পারে। তবে এ নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে তিন দেশ সংঘাতে জড়াবে, এমনটা মনে করছেন না বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত