কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দিল্লির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন কানাডিয়ান শিখরা। স্থানীয় সময় গত সোমবার দেশটির তিনটি শহরে ভারতের কূটনৈতিক মিশনের বাইরে এসব বিক্ষোভ হয়। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ওই শিখ নেতা হত্যার সঙ্গে নয়াদিল্লির যোগসূত্র থাকতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ আনার এক সপ্তাহের মাথায় এই বিক্ষোভ হলো। খবর রয়টার্সের। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গত ১৮ জুন গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী হরদীপকে। গত সপ্তাহে এই হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা শিখ নেতা নিজ্জরের হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে। রয়টার্স বলছে, হরদীপ হত্যার প্রতিবাদে সোমবার কানাডায় বিক্ষোভ করেছেন শিখরা। টরন্টোতে প্রায় ১০০ বিক্ষোভকারী ভারতের পতাকা পুড়িয়ে দেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি সংবলিত কার্ডবোর্ডে জুতা দিয়ে আঘাত করেন তারা। এছাড়া প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারী ভ্যাঙ্কুভারে ভারতীয় কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন। এদিকে রাজধানী অটোয়ায় ভারতীয় হাইকমিশনের (দূতাবাস) সামনে প্রায় ১০০ বিক্ষোভকারী জড়ো হন। এ সময় তাদের হাতে ‘খালিস্তান’ লেখা হলুদ পতাকা ছিল। অটোয়ায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেন রেশমা সিং বলিনাস। তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রুডোর কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা চাই এই কাপুরুষোচিত কাজের শেষ দেখতে কোনো চেষ্টা যেন বাকি না থাকে। ভবিষ্যতে নিরপরাধ মানুষ হত্যা বন্ধ করতে কানাডার উচিত ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগ করা।’ শিখ জনগোষ্ঠী ভারতের ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ। ভারতের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিখ বাস করেন কানাডায়। উত্তর আমেরিকার দেশটিতে বসবাসরত শিখের সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার।
