ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মেক্সিকোতে ধর্ষণের শিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীরা

মেক্সিকোতে ধর্ষণের শিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীরা

উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ছুটে যান লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মেক্সিকোর সীমানা পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করা এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সবাইকে সহ্য করতে হয় অসহনীয় যন্ত্রণা ও নিরাপত্তাঝুঁকি। ক্ষাণিকটা উন্নত জীবনের আশায় এসব কষ্ট মেনেও নেন তারা। অনেক সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশের জন্য অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মুখোমুখি হতে হয় ধর্ষণের মতো ভয়াবহ নরক যন্ত্রণার। বিশেষ করে মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী শহর রেইনোসা এবং মাতামোরোসে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে যৌন সহিংসতার মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলছে। শহর দুটি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সবচেয়ে বড় ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রেইনোসা এবং মাতামোরোসে আমেরিকানদের বাদ দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের ধর্ষণের হার সর্বোচ্চ ছিল। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র লুইস মিরান্ডা জানান, চোরাকারবারিরা তাদের লাভের জন্য অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দুব্যর্বহার, চাঁদাবাজি এবং সহিংসতার মতো অপরাধ ঘটিয়ে থাকে। ব্যাপক হারে অবৈধ শরণার্থীর ঢল সামলাতে চলতি বছরের মে মাসে বাইডেন প্রশাসন সিবিপি ওয়ান নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করে। অ্যাপটির মাধ্যমে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা নিজেদের বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আবেদন করতে পারবেন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অ্যাপটি চালুর পর দুই শহরে সহিংসতার মাত্রা আরো বেড়েছে। তবে বাইডেন প্রশাসন বলছে অ্যাপটিতে রেজিস্ট্রেশন করার ফলে চোরাকারবারিদের অর্থ দেওয়ার হাত থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রক্ষা করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিবিপি অ্যাপ চালুর পর অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশীই চোরাকারবারিদের অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা নিজেরাই সীমান্তে উপস্থিত হয়ে অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে চেষ্টা করছেন। তবে মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে প্রবেশের জন্য এখনও চোরাকারবারিরা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করে আসছে। আর এ জন্য ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছে অপরাধীরা। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের বরাতে জানা যায়, শহর দুটিতে প্রবেশের জন্য দ্য গলফ কার্টেল ও নর্থইস্ট কার্টেল নামে দুইটি গ্রুপ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অপহরণ করে থাকে। বিশেষ করে যারা চোরাকারবারিদের সহায়তা ছাড়া সীমান্তবর্তী শহরে প্রবেশ করে থাকে। এমন পরিস্থিতিতেও কিছু অভিবাসী বিপজ্জনক অঞ্চলে আরো বেশি সময় থাকছে, যাতে তারা অ্যাপে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারে। ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের তথ্য বলছে, ১ হাজার ৪৫০টি স্লটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার চেষ্টা করে থাকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত