নাগোর্নো-কারবাখে মিশন পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নাগার্নো-কারাবাখ। অঞ্চলটি নিয়ে বিরোধে জড়িয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। এরই মধ্যে এলাকা ছেড়েছেন ৪০ হাজার বাসিন্দা। এমন পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলে মিশন পাঠানোর কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর আলজাজিরা। গত শুক্রবার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানান, ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মধ্যে নাগোর্নো-কারাবাখে মিশন পাঠাতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। আজারবাইজানকে পুনরুদ্ধার ও শরণার্থীদের অঞ্চল ছাড়ার ঢলের মধ্যে মানবিক সাহয্যের জন্য এমন ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। তিনি জানান, জাতিসংঘ ও আজারবাইজান সরকার এ অঞ্চলে মিশন পাঠানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। সপ্তাহের শেষে এ অঞ্চলে মিশন পাঠানো হবে।

নাগোর্নো-কারাবাখের সব বেসামরিক স্থাপনা থেকে আজারবাইজানের সৈন্য প্রত্যাহার করার আদেশ চেয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে আর্মেনিয়ার আবেদনের পর এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ অঞ্চলে জাতিসংঘের নিরাপদ প্রবেশাধিকারের জন্য এমন অনুরোধ করা হয়।

কারাবাখ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ছিল। বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে অঞ্চলটি আজারবাইজানের অংশ হলেও সেটি জাতিগত আর্মেনীয় অধ্যুষিত এলাকা। এ এলাকাটিতে ১ লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় বসবাস করেন। বিরোধপূর্ণ এ অঞ্চল নিয়ে এরই মধ্যে দুটি যুদ্ধে জড়িয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। প্রথমটি ১৯৯০-এর দশকে এবং দ্বিতীয়টি ২০২০ সালে। ২০২০ সালের যুদ্ধে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগে কারাবাখের বেশকিছু অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় আজারবাইজান।

সম্প্রতি এ অঞ্চলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার সেখানে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয় আজারবাইজান। সামরিক অভিযানের ২৪ ঘণ্টার মাথায় আর্মেনীয়রা আত্মসমর্পণ করলে যুদ্ধবিরতিতে যায় দুপক্ষ। যুদ্ধবিরতির পরপর আর্মেনীয়দের অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা জানায় আজারবাইজান। তবে তাদের এমন আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে পারেননি কারাবাখের নেতারা। গত রোববার কারাবাখ রিপাবলিকের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ডেভিড বাবায়ান বলেছেন, আমাদের জনগণ আজারবাইজানের অংশ হিসেবে থাকতে চায় না। ৯৯ শতাংশ মানুষ আমাদের ঐতিহাসিক ভূমি ছেড়ে চলে যেতে চায়। এরপরই আজারবাইজানের হাতে জাতিগত নিধনের ভয়ে দলে দলে আর্মেনিয়ায় পাড়ি জমাতে থাকেন জাতিগত আর্মেনীয়রা।