ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জার্মানিতে অভিবাসন নীতি নিয়ে অসন্তোষ বেড়েই চলেছে

জার্মানিতে অভিবাসন নীতি নিয়ে অসন্তোষ বেড়েই চলেছে

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস গত শনিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বার্লিন কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনিয়মিত অভিবাসন আটকাতে চায়। জার্মান রাজ্যগুলোকে শরণার্থী মোকাবিলায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শলৎস। বার্লিন এরই মধ্যে পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালু করেছে।

সম্প্রতি পোল্যান্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভিসার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার দাবি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু ওয়ারশ থেকে আসা ব্যাখ্যায় ইইউ সন্তুষ্ট নয়। এর পরই জার্মান ব্রডকাস্ট নেটওয়ার্ক রেডাকসিওননেটভের্ক ডয়েচলান্ডে শলৎসের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। চ্যান্সেলর বলেন, এই মুহূর্তে জার্মানিতে আসতে চাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। ৭০ শতাংশেরও বেশি শরণার্থীর আগে কোনো নিবন্ধন হয়নি। তারা প্রায় সবাই ইইউর অন্য দেশে ছিল। চ্যান্সেলর জার্মানির সব রাজ্যজুড়ে পৌরসভাগুলোর জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা শুরু করতে চান। তিনি বলেন, নভেম্বরে জার্মান রাজ্যগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা আছে। তখন তিনি ‘নমনীয় সীমা’ নিয়ে আলোচনা করবেন। যাতে শরণার্থীদের আশ্রয় সংখ্যার ভিত্তিতে রাজ্যগুলোকে অর্থায়নের প্রস্তাব দেওয়া যায়। তার কথায়, বার্লিন ওয়ারশকে নিশ্চিত করতে বলেছে, শরণার্থীদের কাছে সহজে জার্মানি আসার ভিসা যেন বিক্রি করা না হয়। জার্মানির ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে বেশ কিছু এবং কখনো কখনো প্রকাশ্যেও বিরোধ দেখা গেছে। তার পরও শলৎস বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধ করার বিষয়ে এই সরকার সম্পূর্ণ চুক্তিবদ্ধ। তার কথায়, এটি শুধু সংহতির মাধ্যমে করা যেতে পারে। জার্মানি সাহায্য করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। বার্লিন সম্প্রতি প্রতিবেশী পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে সীমান্ত নজরদারির ঘোষণা করেছে। চলতি বছরে আশ্রয় আবেদন প্রায় ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনটি দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে শেঙ্গেন সাধারণ ভিসা এলাকার অংশ, যেখানে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কঠোর নজরদারি ছাড়াই সীমান্ত পেরোতে পারেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত