এক সপ্তাহের ব্যবধানে তৃতীয় বারের মতো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে আফগানিস্তান। মাত্র কয়েক দিন আগেই দেশটিতে বড় ধরনের দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আগের শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হেরাত শহরের কাছে ওই ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার (৪ মাইল)। এখনো পর্যন্ত এই ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে এর আগের ভূমিকম্পে নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশই ছিল নারী এবং শিশু। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইউএসজিএস’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হেরাত থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে। ইরান সীমান্তের কাছে অবস্থিত হেরাত আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। এর আগে গত শনিবার (৭ অক্টোবর) হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরবর্তী জিন্দাজান শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। বলা হচ্ছে, এটি গত দুই দশকের মধ্যে দেশটিতে আঘাত হানা অন্যতম প্রাণঘাতী ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এরপর আরো চারটি আফটারশক আঘাত হানে এলাকাটিতে। রিখটার স্কেলে সেগুলোর মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩ ও ৫ দশমিক ৯। এর আগে গত জুনে দেশটির পাকতিকা প্রদেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ১ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া গত বুধবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই সময় জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসাইন্সেস (জিএফজেড) জানায়, আফগানিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ওই ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬.২১ মাইল)।