মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট

ক্ষমতা নেয়ার প্রথম দিনই ভারতীয় সৈন্য তাড়াবেন

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

মালদ্বীপের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু বলেছেন, আমরা চাই না মালদ্বীপের মাটিতে কোনো বিদেশি সৈন্য থাকুক। আমি মালদ্বীপের জনগণের কাছে ওয়াদা করেছি ক্ষমতা নেয়ার প্রথম দিনই বিদেশি সৈন্যদের এদেশ থেকে বের করে দেব। তিনি বলেন, বৈশ্বিক ক্ষমতার লড়াইয়ে জড়ানোর জন্য মালদ্বীপ খুবই ছোট জায়গা। আমরা এতে জড়াতে পারব না। নির্বাচনের আগে বর্তমান প্রসিডেন্ট সালেহি বিবিসিকে জানিয়েছিল মালদ্বীপে বিদেশি ভারতীয় সৈন্য নেই এসব বিরোধীদের অপপ্রচার।

তবে মুইজ্জু বিবিসিকে বলেন, আমরা জানি না সেখানে কি আছে। এমনকি সংসদে, বিতর্কের সময় কিছু সংসদ সদস্য বলেছিলেন যে, তারা জানেন না সেখানে কী রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে আমরা এটি (কী আছে তা) খুঁজে বের করব। ২০১০ ও ২০১৩ সালে ভারত মালদ্বীপকে দুটি হেলিকপ্টার উপহার দিয়েছিল। এরপর ২০২০ সালে তাদের একটি ছোট এয়ারক্র্যাফটও দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল, মালদ্বীপে উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযান চালাতে এবং আপৎকালীন মেডিকেল ইভ্যালুয়েশনে এগুলো ব্যবহার করা হবে। কিন্তু ২০২১ সালে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায় যে, ভারতের দেওয়া বিমান চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ৭৫ জন ভারতীয় সেনা সদস্য সে দেশে অবস্থান করছেন। ২০১৮ সালে বেশ অপ্রত্যাশিতভাবে ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার পর মালডিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) নেতা সলিহ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ শক্তিশালী করেছিলেন।

দেশটির সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করেন এবং মালদ্বীপের ভূখণ্ডে ছোট্ট সামরিক বাহিনী পরিচালনায় ভারতকে অনুমতি দেন। মালদ্বীপে উপস্থিতি থাকার ফলে দিল্লিও ভারত মহাসাগরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশে তাদের নজরদারি বা মনিটরিং জারি রাখতে পেরেছে। ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পর্যবেক্ষণের জন্য কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক জায়গায় অবস্থিত এ দ্বীপরাষ্ট্রকে পাশে রাখতে চায় ভারত। যার জন্য দেশটিকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে নয়া দিল্লি। মুইজ্জু বিবিসিকে বলেছেন ভারতের সঙ্গে বর্তমান সরকারের করা সব চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করবেন তিনি। এমতাবস্থায় যদি ভারতের সৈন্যদের চলে যেতে বাধ্য করা হয় তবে তা হবে দিল্লির জন্য একটি বড় ধাক্কা। মুইজ্জুর জোট চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে। চীন দেশটির অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণ এবং অনুদানের আকারে মালদ্বীপে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

বিবিসিকে মুইজ্জু বলেন, আমি কোনো দেশের পক্ষে বা বিপক্ষে নই। আমি একজন মালদ্বীপপন্থি ব্যক্তি। আমার কাছে মালদ্বীপ সবার আগে আসে, আমাদের স্বাধীনতা সবার আগে।