ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাকিস্তানে আফগান শরণার্থী নারী ও শিশুদের সুরক্ষা চায় জাতিসংঘ

পাকিস্তানে আফগান শরণার্থী নারী ও শিশুদের সুরক্ষা চায় জাতিসংঘ

চলতি মাসের শুরু থেকে পাকিস্তানে থাকা লাখ লাখ আফগান শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করছে পাকিস্তান। এমন অবস্থায় সেখানকার নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শীর্ষ সংস্থাগুলো। জাতিসংঘের শীর্ষ সংস্থাগুলো গতকাল শিশুদের এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কারণ পাকিস্তান পাকিস্তানে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের নির্বাসনের জন্য একটি অভিযান শুরু করেছে। খবর নেশনন্স ডটকমের। ইউএনএইচসিআর, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, আইওএম, জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এবং ইউনিসেফ, জাতিসংঘের শিশু তহবিল বলেছে যে, পাকিস্তানের অবৈধ বিদেশিদের প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত শিশু এবং পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘের এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, পাকিস্তানে গ্রেপ্তার বা নির্বাসনের ভয়ে এখন বেশিরভাগ আফগানই তাদের দেশে ফিরছে। আফগানিস্তান একটি মানবিক সংকটের গভীরে রয়েছে। আসন্ন কঠোর শীতে সেটি আরো তীব্র হবে। দেশটিতে প্রায় ৩ কোটি লোকের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া ৩৩ লাখের বেশি আফগানি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। খবরে বলা হয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সাল থেকে আনুমানিক ১ লাখ ৬০ হাজার আফগান শরণার্থী পাকিস্তান ছেড়েছে। তাদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ পরিবার গ্রেপ্তারের ভয়কে তাড়াহুড়ো করে এবং সহায়তা ছাড়াই আফগানিস্তানে ফিরেছে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে, পাকিস্তানের শরণার্থীদের আতিথেয়তা, লাখ লাখ জীবন বাঁচানোর গর্বিত ঐতিহ্য রয়েছে। এই উদারতা এখনো প্রয়োজন। পাকিস্তানে চলাফেরা করার সময়, আটক কেন্দ্রে, সীমান্ত অতিক্রম করে এবং আফগানিস্তানে ফেরার সময় শিশুরা গুরুতর সুরক্ষা ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য ও আশ্রয়ের মতো মৌলিক প্রয়োজনীয়তাসহ পরিষেবাগুলোতে শিশুদের প্রবেশাধিকার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। নিবন্ধিত আফগান শরণার্থীরা পেশোয়ার এবং কোয়েটায় ইউএনএইচসিআরের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন কেন্দ্রগুলোর কাছেও ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছে। ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ফিলিপা ক্যান্ডলার বলেন, যে কোনো প্রত্যাবর্তন স্বেচ্ছায় হওয়া দরকার এবং নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে করা দরকার। অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মানের সঙ্গে এবং যাদের প্রয়োজন তাদের সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। ইউএনএইচসিআর ও আইওএম জানিয়েছে যে, তারা পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ করছে। তারা জানিয়েছে যে, নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে এমন শরণার্থীদের ১ নভেম্বরের ডেডলাইনের মধ্যে দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আইওএমের মিশন চিফ মিও সাতো বলেছেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি শিশু এবং পরিবারসহ দুর্বল ব্যক্তিদের এমন পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে না আনতে যেখানে তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত