ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তিন মাসে পাকিস্তান ছেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার আফগান

তিন মাসে পাকিস্তান ছেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার আফগান

পাকিস্তান সরকার কড়াকড়ি অবস্থান নেয়ার পর বিপুলসংখ্যক আফগান শরণার্থী পাকিস্তান ছেড়েছেন। পাকিস্তানের সীমান্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় তিন মাসে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজাের বেশি আফগান নাগরিক পাকিস্তান ছেড়েছেন। গত রোববার একদিনেই পাকিস্তান ছাড়ে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি আফগান নাগরিক। ডনের খবরে বলা হয়েছে, সরকার সকল অনিবন্ধিত বিদেশি নাগরিকদের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পাকিস্তান ত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেয়। এরপর থেকে স্বেচ্ছায় উচ্ছেদ চলছে।

এরপরও পাকিস্তানে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে মোট ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৫৮ আফগান নাগরিক আফগানিস্তানে ফিরে গেছেন। স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন এখনো চলছে, তবে সংখ্যাটি প্রতিদিনই কমছে। আফগান নাগরিকদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জড়িত একজন কর্মকর্তা ডনকে বলেন, ‘সময়সীমা শেষ হওয়ার পরপরই সীমান্ত ক্রসিংয়ে বিপুলসংখ্যক অবৈধ অভিবাসী ছিল। এটা এখন কমে আসছে।’

ডনের খবরে বলা হয়েছে, ২ নভেম্বর শনিবার পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাঞ্জাবের বিভিন্ন কারাগার থেকে ২০৯ জন নির্বাসিতসহ ৪৬, ৯৩৬ পুরুষ, ৩৫, ৫০৭ নারী এবং ৮৫, ৩৩১ শিশুকে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ১ থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া, পাঞ্জাব এবং ইসলামাবাদ থেকে ৫০০ জনেরও বেশি বন্দিকে নির্বাসিত করা হয়েছিল।

কর্মকর্তারা আফগান পরিবারগুলোকেও আশ্বস্ত করেছেন যে, তাদের প্রত্যাবাসনের যাবতীয় খরচ পাকিস্তান সরকার বহন করবে।

সূত্র জানিয়েছে যে, নওশেরার কিছু অবৈধ আফগান নাগরিক ফিরে যেতে ইচ্ছুক ছিল কিন্তু অর্থের অভাবে তা করতে পারেনি। পুলিশসহ জেলা প্রশাসন পরিবারগুলোর সাথে দেখা করেছে এবং তাদের প্রত্যাবাসনের সমস্ত ব্যয় সরকার বহন করবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেছে। তবে পাকিস্তান সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন রাজনৈতিক নেতা ও সামাজিক কর্মীরা। পশতুনখওয়া মিলি আওয়ামী পার্টি (পিকেএমএপি) চেয়ারম্যান মাহমুদ খান আচাকজাই বলেছেন যে, আফগান শরণার্থীদের পুনর্বাসন একটি আন্তর্জাতিক মানবিক উদ্বেগের বিষয়।

পাকিস্তানের এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিল আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। তারা এ বিষয়ে আফগানিস্তানকে আরো কিছু সময় দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। এছাড়া জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মানবিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করেছে। তবে পাকিস্তানের আনোয়ার উল হক কাকার সরকার তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত