ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১৪ লাখ আফগান শরণার্থীর থাকার মেয়াদ বাড়াল পাকিস্তান

১৪ লাখ আফগান শরণার্থীর থাকার মেয়াদ বাড়াল পাকিস্তান

চার মাস বিলম্বের পর গত শুক্রবার প্রায় ১৪ লাখ আফগান শরণার্থীর বৈধতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। বছরের শেষ পর্যন্ত এর মেয়াদ অব্যাহত থাকবে। তারা দেশটি অনিবন্ধিত আফগান এবং অন্যান্য বিদেশি নাগরিকের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। পাকিস্তানে অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশিদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযানের মধ্যে এ ঘোষণাটি এসেছে।

এর মধ্যে বেশিরভাগই আফগান শরণার্থী। সরকারিভাবে আনুমানিক ১৭ লাখ আফগান শরণার্থী রয়েছে দেশটিতে। খবর ডনের পাকিস্তানের সরকারি ঘোষণায় বলা হয়, ‘পাকিস্তান সরকার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নিবন্ধিত আফগান শরণার্থীদের ইস্যু করা নিবন্ধনের প্রমাণ বা পিওআর কার্ডের বৈধতা বাড়াতে পেরে আনন্দিত।’ পাকিস্তানে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের এক মুখপাত্র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জুলাইয়ের শুরুতে এই সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেন, বিলম্বের কারণে শরণার্থী পরিবারগুলো হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে, বিশেষ করে দমন-পীড়ন শুরু হওয়ার পর। নিবন্ধিত শরণার্থীরা হচ্ছে মূলত ১৯৭০ থেকে শুরু করে কয়েক দশকের সংঘাত এবং নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা আফগান। পাকিস্তান ইদানীং প্রতি ছয় মাস অন্তর তাদের পিওআর কার্ড নবায়ন করছিল। কিন্তু এই বছরের ৩০ শে জুন তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তারা আর এর মেয়াদ বাড়ায়নি। শুক্রবারের বিবৃতিতে এর বিলম্বের কারণও ব্যাখ্যা করা হয়নি। অক্টোবরের শুরুতে ইসলামাবাদ হঠাৎ করে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া সব বিদেশিকে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য এক মাস সময় দেয়। যারা ১ নভেম্বরের সময়সীমার পরে অবস্থান করবে তাদের স্থানীয় অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের জন্য গ্রেপ্তার করা হবে এবং বহিষ্কার করা হবে বলেও জানায় পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ।

তালেবানের পদক্ষেপের সুফল, বিশ্বে আফিম সরবরাহ কমেছে ৯৫ শতাংশ। গত বুধবার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার বলেন, এই ঘোষণার পর থেকে আড়াই লাখেরও বেশি আফগান স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত