চার মাস বন্ধ থাকবে পাকিস্তান-চীন সীমান্তের খুঞ্জেরাব পাস

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পাকিস্তানের সঙ্গে খুঞ্জেরাব পাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে চীন সরকার। শীতকালে চার মাসের জন্য বন্ধ থাকবে বিশ্বের উচ্চতম এই পাস। খুঞ্জেরাব পাস বিশ্বের সর্বোচ্চ পাকা আন্তর্জাতিক সীমান্ত ক্রসিং এবং কারাকোরাম মহাসড়কের সর্বোচ্চ বিন্দু।

চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের খুঞ্জেরাব বন্দর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গত শনিবার এ বিষয়ে নোটিশ জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে পাসটি ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। খবর ডনের। সম্প্রতি পাসটি সারা বছর চালু রাখার বিষয়ে একমত হয়েছিল দুই দেশের সরকার। তবে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পাদন হয়নি। এরপরই এই ঘোষণা দিল চীন। বিজ্ঞপ্তিতে যোগ করা হয়েছে যে, পোর্ট এন্ট্রি এবং এক্সিট ম্যানেজমেন্ট মেজারস অনুযায়ী, দুই দেশকে খুঞ্জেরাব পাসকে সারা বছর খোলা রাখার জন্য কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সীমান্ত বন্দর এবং ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার চুক্তি সংশোধন করতে হবে এবং স্বাক্ষর করতে হবে।

চীনের স্টেট পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খুঞ্জেরাব বন্দরটি বছরব্যাপী খোলার স্বীকৃতি চাইবে। দুর্গম ও পুরু বরফাচ্ছাদিত হওয়ার কারণে শীতের সময়ে প্রতিবছর চার মাস বন্ধ থাকে পাসটি। খবরে বলা হয়েছে, কোনো বিশেষ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে জিনগিয়াংয়ের খুঞ্জেরাব বন্দর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পাসটি অস্থায়ীভাবে খোলার জন্য আবেদন করবে। খুঞ্জেরাব পাস গিলগিট-বালতিস্তানকে চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫,৫০০ ফুট উচ্চতায় সর্বোচ্চ পাকা আন্তর্জাতিক সীমান্ত।

১৯৮৫ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সীমান্ত প্রটোকল চুক্তির অধীনে পাসটি এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে ভ্রমণ ও বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত থাকে। ডন জানিয়েছে, শীতকালে অতিরিক্ত তুষারপাতের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যাতায়াত ব্যাহত হয়।

গত শুক্রবার মৌসুমের প্রথম তুষারপাতের পর রাস্তাটি এরইমধ্যে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত বরফে ঢেকে গেছে। সড়কে আটকে থাকা যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন যে, কর্তৃপক্ষ বরফ অপসারণ করতে বা পাকিস্তানের দিকে যান চলাচলের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেয়নি। গত শুক্রবার খুঞ্জেরাব পাস দিয়ে চীন থেকে পাকিস্তানে যাওয়া ইমতিয়াজ হুসেন ডনকে বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শূন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ছিল। তিনি বলেন, তুষারপাতের পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে থাকে।