ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মিয়ানমারে গণহত্যা মামলায় ৭ দেশের আবেদন

মিয়ানমারে গণহত্যা মামলায় ৭ দেশের আবেদন

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় পক্ষভুক্ত হতে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে এবং এককভাবে মালদ্বীপও নেদারল্যান্ডসে হেগ-এর আর্ন্তজাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) আবেদন করেছে। আদালত গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ খবর জানিয়েছে। দেশগুলো আইসিজেতে একটি যৌথ বিবৃতি দাখিল করেছে। এতে ১৯৪৮ সালের গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও সাজাবিষয়ক সনদের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এ সনদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অভিন্ন স্বার্থে তারা এই গণহত্যা মামলায় অর্ন্তভুক্ত হতে চায়। জার্মান পররাষ্ট্রবিষয়ক কর্মকর্তা তানিয়া ভন উরসুলা এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেন, ‘আমরা বিশেষত নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার বিষয়টিতে নজর দিচ্ছি।’ ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা করেছিল ওআইসিভুক্ত দেশ গাম্বিয়া। বলা হয়েছিল, মিয়ানমারকে তার নিজ দেশের মানুষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আচরণের জন্য জবাবদিহি করানোই গাম্বিয়ার লক্ষ্য। গাম্বিয়া তাদের ৪৬ পৃষ্ঠার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং তাদের আবাস ধ্বংসের কথা বলেছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় ‘বিদ্রোহীদের’ হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান। সেই সঙ্গে শুরু হয় বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে রোহিঙ্গাদের ঢল। সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের কথায় উঠে আসে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ, যাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে জাতিসংঘ। তবে মিয়ানমার গণহত্যার কথা অস্বীকার করেছে এবং জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধান মিশনে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তা পক্ষপাতদুষ্ট এবং ত্রুটিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে। গতবছর জুলাইয়ে গণহত্যা মামলা প্রক্রিয়া চালাতে মিয়ানমারের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে আইসিজে। এতে মামলাটির শুনানি পুরোপুরি অনুষ্ঠানের পথ সুগম হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত