ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাজায় প্রতিদিন দুই ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরাইল

গাজায় প্রতিদিন দুই ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরাইল

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রতিদিন দুই ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেবে বলে জানিয়েছে দখলদার ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্রের চাপের পর দিনে দুটি জ্বালানি ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশের অনুমতি দেবে তারা। খবর বিবিসির।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রতি দুই দিনে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানির অনুমতি দেওয়া হবে। এর বেশিরভাগই ট্রাকের সাহায্যের জন্য। সেই সঙ্গে পানি ও স্যানিটেশন সরবরাহে জাতিসংঘকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে। বাকিটা মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য, যা জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত শুক্রবার গাজার যোগাযোগ সরবরাহকারী সংস্থাটি বলেছে যে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা উনরওয়ার মাধ্যমে কিছু জ্বালানি পাওয়ার পর তাদের পরিষেবাগুলো ফিরে আসছে। মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, এই জ্বালানি চুক্তির মাধ্যমে ওয়াশিংটন ইসরাইলের ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করেছে। এই চুক্তিটি সপ্তাহ আগে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু দুটি কারণে তা বিলম্বিত হয়েছিল। ইসরাইলি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছিলেন যে দক্ষিণ গাজায় জ্বালানি আসলে শেষ হয়নি এবং তারা অপেক্ষা করতে চেয়েছিল। তারা প্রথমে জিম্মি চুক্তিতে আলোচনা করতে পারে কি না, তা দেখতে চায়। উনরওয়া প্রধান গত বৃহস্পতিবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে জ্বালানির অভাবের কারণে সংস্থাটিকে তার সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করতে হতে পারে। তার সর্বশেষ পরিস্থিতি প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে- এটি মৌলিক মানবিক কার্যক্রমের জন্য প্রতিদিন ১৪ লাখ ৬০ হাজার লিটার জ্বালানির প্রয়োজন, যা সম্মত হয়েছে তার দ্বিগুণেরও বেশি। এর আগে একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছিলেন, নতুন জ্বালানি রাফাহ ক্রসিংয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ গাজা উপত্যকার বেসামরিক জনগণের কাছে জাতিসংঘের মাধ্যমে আনা হবে। তবে শর্ত থাকে যে এটি হামাসের কাছে না পৌঁছায়। ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছেন, জ্বালানিটি পানি, পয়ঃনিষ্কাশন এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে ‘ন্যূনতম’ সহায়তা দেবে, যাতে এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন মহামারির প্রাদুর্ভাব রোধ করতে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বারবার গাজা উপত্যকায় উদ্ভূত মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর আগে গাজায় রোগের বিস্তারের ‘উদ্বেগজনক প্রবণতা’ সম্পর্কে সতর্ক করেছে। যেখানে জ্বালানির অভাব এবং ইসরাইলি বোমাবর্ষণ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং স্যানিটেশন সুবিধাগুলোকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঢুকে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১ হাজার ৪০০’র বেশি মানুষ নিহত এবং ২৪০ জন জিম্মি হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনি এই সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় নিয়ে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় সাড়ে ১১ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত