বাশারের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ফ্রান্সের

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নামে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ফ্রান্সের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০১৩ সালের একটি মামলায় তার নামে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ২০১৩ সালে সিরিয়ার বাশার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছিল।

অভিযোগ ছিল, আসাদের নির্দেশে সরকারবিরোধীদের উপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্ত শেষে ফ্রান্স এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাশারের পাশাপাশি তার ভাই মাহেল এবং সিরিয়ার আরো তিন নাগরিকের বিরুদ্ধেও একই পরোয়ানা জারি হয়েছে। মাহেল সিরিয়ার এলিট ফোর্সের প্রধান।

বাকি দুইজনও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। আসাদ সরকার তার কঠিন জবাব দেয়। বেসামরিক মানুষদের দিকে না তাকিয়ে একের পর এক অঞ্চলে ধ্বংসলীলা চালানো হয়। বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। তবে ২০১৩ সালে তাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, গৃহযুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী এবং এই অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন বাশার। ওই অস্ত্র ব্যবহারের জেরে প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক আদালতে আসাদ এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা ওঠে। তেমনই এক মামলায় আসাদকে দোষী প্রমাণিত করা হয়েছে। তারপরেই তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ফ্রান্স। এটি আসাদের বিরুদ্ধে প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। সিরিয়ার সেন্টর ফর মিডিয়া অ্যান্ড ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন এনজিও রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। এছাড়াও সিরিয়ান আর্কাইভ নামক একটি সংস্থাও এই অভিযোগ সামনে এনেছিল।

তারই ভিত্তিতে প্যারিসে আদালতে ঘটনাটির বিচার হয়। একাধিক সাক্ষী এবং তথ্য আদালতে পেশ করা হয়। শেষ পর্যন্ত আসাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে সিরিয়ার বিরোধীপক্ষের এক নেতা ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দেখান সিরিয়ার পূর্বদিকের শহর ঘৌওতয় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পর গোটা এলাকার কী অবস্থা হয়েছে। বহু দেহ চারিদিকে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ওই ভিডিওতে, যার মধ্যে বহু শিশুও ছিল। ওই ভিডিও গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দেয়। জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়, ভিডিও থেকে স্পষ্ট, সেখানে রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। আসাদ সরকার অবশ্য কখনোই এই অভিযোগ মেনে নেয়নি। কিন্তু প্যারিসের আদালত জানিয়েছে, তাদের হাতে তথ্য প্রমাণ আছে, আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছিলেন।