ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৮ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন

৮ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে নির্বাচনের তপশিল জারি করেছে। শীর্ষ আদালতের আদেশের পর তারা ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের জন্য গত শুক্রবার তপশিল জারি করে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)-এর একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০-২২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে।

১৩ জানুয়ারি প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং ভোট হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। গত শুক্রবার তপশিল জারি করার জন্য শীর্ষ আদালতের আদেশের পরে এসব ঘটনা ঘটে। এখন এ ঘোষিত তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসার নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ আমলাতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন স্থগিত করে লাহোর হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। ইসা যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন। এছাড়া শুক্রবার রাতের মধ্যে নির্বাচনের তপশিল জারি করার নির্দেশ দেন। বুধবার লাহোর হাইকোর্ট নির্বাচনের জন্য জেলা রিটার্নিং অফিসার এবং রিটার্নিং অফিসার হিসাবে জেলা প্রশাসক এবং অন্যান্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়োগের ইসিপি (পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন) বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই দলের অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার উমায়ের নিয়াজির দায়ের করা পিটিশনে হাইকোর্ট এই আদেশ জারি করেছে। তিনি ভোটের আয়োজনের জন্য নিম্ন বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়োগ চেয়েছিলেন। পরে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জেলা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে আমলা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে এবং সাধারণ নির্বাচনের প্রক্রিয়া স্থগিত করে। তবে এর আগে প্রধান বিচারপতি নির্বাচন কমিশনের প্রধানকে তলব করে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।

বৈঠকের পর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন শীর্ষ আদালতে একটি আপিল দায়ের করে এবং ইসা শুনানির সময় নির্ধারণ করেন। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইসা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে শীর্ষ আদালত কাউকে নির্বাচন বিলম্ব করার অনুমতি দেবে না। এরপর তিনি দেশটির নির্বাচন কমিশনকে তপশিল জারি করার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত