ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে : ইরান

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা ও ব্যর্থতায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। গাজায় চলমান যুদ্ধের বিষয়ে গত রোববার রাজধানী তেহরানে এক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে এই অভিযোগ করেছেন তিনি।

ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, বিশ্বের সব মুসলিম দেশ ও স্বাধীন সব জনগণের প্রধান ইস্যু এখন ফিলিস্তিন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা ও ব্যর্থতায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, অব্যাহত দখলদারিত্ব কখনই দখলদার শক্তিকে বৈধতা দেয় না। ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। ইরানের এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি অন্যায়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরাইলি ভূখণ্ডে অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড চালিয়েছে হামাস। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ওই হামলা তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বলে মন্তব্য করেন রাইসি।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিন সংকটের সঠিক সমাধান হলো ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ করে দেওয়া। ইসরাইলের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গাজার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠী উপত্যকায় ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলমান হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে গাজায় ২০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি অবিচার ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ করে আসছে ইরান। একই সঙ্গে এই অভিযোগে ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটি।

গত শনিবার ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর একজন কমান্ডার হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, গাজায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা ‘অপরাধ’ সংঘটিত করতে থাকলে ভূমধ্যসাগর বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাকদি বলেছেন, ‘শিগগিরই ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালী এবং অন্যান্য জলপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিরা গত মাসে গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিশোধে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী ইসরাইলি সব বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার হুমকি দিয়েছে। এমনকি বেশ কিছু জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। হুথিদের ক্রমবর্ধমান হামলার মুখে বিশ্বের প্রধান প্রধান শিপিং কোম্পানিগুলো তাদের জাহাজ পরিচালনার রুট পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে।