আরো তিনটি গোয়েন্দা উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাল উত্তর কোরিয়ার

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে আগামী বছর আরো তিনটি গোয়েন্দা উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি গতকাল এ খবর প্রকাশ করেছে। গত মাসে নিজেদের প্রথম গোয়েন্দা উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর কথা জানায় উত্তর কোরিয়া। দেশটির দাবি, তাদের উপগ্রহ এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ছবি পাঠিয়েছে। যদিও দেশটি এখন পর্যন্ত তাদের গোয়েন্দা উপগ্রহের পাঠানো কোনো ছবি প্রকাশ করেনি। তবে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেছেন, নতুন বছরে দক্ষিণ কোরিয়া বিষয় তার কৌশলেও ‘মৌলিক পরিবর্তন’ দেখা যাবে। নিজেদের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া তার সামনে বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই বলেও জানিয়েছেন কিম। নিজ দল ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার বছর শেষের সম্মেলনে গতকাল তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একত্রীকরণ আর সম্ভব নয়। কারণ, সিউল তার দেশকে শত্রু হিসেবে গণ্য করে। এই প্রথম জনসম্মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার বিষয়ে এ ধরনের কথা বললেন কিম। সেই সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কৌশল পরিবর্তনের ঘোষণাও প্রথমবার এলো। গত কয়েক বছর ধরে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কে শুধু অবনতিই হয়েছে। গত মাসে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পর যা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। শুধু গোয়েন্দা উপগ্রহই নয় বরং পুরো ২০২৩ সালজুড়েই উত্তর কোরিয়া সব ধরণের হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে নিয়মিত তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে গেছে। এ মাসের শুরুতে দেশটি তাদের সবচেয়ে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। আন্তঃমহাদেশীয় ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি নর্থ আমেরিকায় আঘাত হানতে সক্ষম। প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামারিক সহযোগিতা বিষয়ে সম্পর্কের আরো উন্নতি মেনে নিতে পারছে না উত্তর কোরিয়া। মিত্রকে দেওয়া নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় পরমাণু অস্ত্রসজ্জিত একটি সাবমেরিন পাঠিয়েছে, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকাল কিম বলেন, ‘আমাদের আক্রমণ করতে শত্রুদের বেপরোয়া পদক্ষেপের কারণে কোরীয় উপদ্বীপে যে কোনো সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে। ‘যদি আমরা ঘনিষ্ঠভাবে শত্রু বাহিনীর মুখোমুখি সামরিক কর্মকাণ্ডের দিকে তাকাই... ‘যুদ্ধ’ শব্দটি একটি বাস্তবসম্মত বাস্তবে পরিণত হয়েছে, একটি আর বিমূর্ত ধারণা নয়।’