ইরানে বোমা হামলা

নিহতদের দাফনে ‘প্রতিশোধ’ ‘প্রতিশোধ’ বলে স্লোগান

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানির সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান পুলিশ। গত বুধবার ইরানের দক্ষিণ-পূর্বের অঞ্চল কেরমানে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। দুটি বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিল।

নিহতদের দাফনের সময় উপস্থিত শোকার্তরা ‘প্রতিশোধ’ ‘প্রতিশোধ’ বলে স্লোগান দিয়েছে। খবরটি দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এক বিবৃতিতে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, কেরমানে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলায় সাহায্য করার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া ইরানের অন্যান্য অংশে থাকা নয়জনকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে যে, তাদের এজেন্টরা বিস্ফোরক ডিভাইস এবং এর কাঁচামাল, বিস্ফোরকসহ জ্যাকেট, রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, ডেটোনেটর এবং বিস্ফোরক জ্যাকেটে ব্যবহৃত কয়েক হাজার পেলেট (বিস্ফোরকে ব্যবহৃত ছোট ধাতব পদার্থ) জব্দ করেছে।

আত্মঘাতী হামলাকারীদের একজনকে তাজিকিস্তানের নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। সোলেইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানে হামলার দায় স্বীকার করল আইএস। ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানে দুটি বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। নিহতদের গতকাল শুক্রবার দাফন করা হয়েছে। এ সময় জনতা ‘প্রতিশোধ’ ‘প্রতিশোধ’ বলে স্লোগান দেয়। কেরমানের ইমাম আলি ধর্মীয় কেন্দ্রে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিপ্লবী গার্ড কমান্ডার মেজর-জেনারেল হোসেন সালামি বলেন, ‘যেখানেই থাকুন না কেন আমরা আপনাদের (হামলাকারী) খুঁজে বের করব।’ প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘পদক্ষেপ নেওয়ার স্থান এবং সময় নির্ধারণ করবে আমাদের বাহিনী।’ কাসেম সোলেইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানে নিহত ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত উত্তেজনার মধ্যেই ঘটেছে কাসেম সোলেইমানির সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর এটিকেই ধরা হচ্ছে ইরানের সংঘটিত সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা। ২০২২ সালে আইএস ইরানের একটি শিয়া মাজারে হামলার দায় স্বীকার করেছিল, যাতে ১৫ জন নিহত হয়। এ ছাড়া ইরানে আরও কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। এর মধ্যে আছে ২০১৭ সালে ইরানের পার্লামেন্ট এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির সমাধি লক্ষ্য করে জোড়া বোমা হামলা।