২০০ গোলা নিক্ষেপ উ.কোরিয়ার

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার কাছে উত্তর কোরিয়ার গোলা নিক্ষেপের ঘটনায় কোরীয় উপদ্বীপে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে- তাদের সমুদ্রসীমার কাছে দুটি দ্বীপের দিকে ২০০ রাউন্ডেরও বেশি আর্টিলারি গোলা ছুড়েছে উত্তর কোরীয় সেনারা। এ ঘটনায় কোনো সামরিক বা বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নিক্ষিপ্ত সব গোলাই সমুদ্রে পড়েছে। তবে এর পরও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা। ইয়েনপিয়ং ও বায়েংনিয়ইং দ্বীপ দুটির বাসিন্দাদেরও বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। যদিও এ নির্দেশনার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার গোলা ছোড়ার কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না- তা নিশ্চিত করা হয়নি। সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই গোলা ছোড়ার ঘটনাকে ‘উসকানিমূলক কাজ’ উল্লেখ করে বলেছে, ‘আমরা কঠোরভাবে সতর্ক করছি যে উত্তর কোরিয়াকেই ক্রমবর্ধমান সংকটের জন্য দায় নিতে হবে। আমরা অবিলম্বে এই পদক্ষেপগুলো বন্ধ করার জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ করছি।’ দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের মুখপাত্র লি সুং-জুন বলেছেন, ‘এ ধরনের ঘটনা উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে এবং কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি বিনষ্টের হুমকি দেয়।’ এ ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওন-সিক শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই শত্রুদের সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’ একই সঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় করে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পিয়ংইয়ংয়ের উসকানিমূলক কাজের জবাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

কোরীয় উপদ্বীপে নতুন করে তৈরি হওয়া এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে শান্ত থাকার এবং উত্তেজনা বাড়ায় এমন পদক্ষেপ থেকে দুপক্ষকেই বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপে প্রাসঙ্গিক পক্ষগুলোর দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে।’

এখন পর্যন্ত এই গোলা ছোড়ার ঘটনা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি পিয়ংইয়ং। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার চালানো যৌথ সামরিক মহড়াকেই দায়ী করে আসছে।