পাকিস্তানে ফৌজদারি মামলায় শাস্তি পেলে রাজনীতিকরা আর ভোটে দাঁড়াতে পারতেন না। সেই নিয়ম বাতিল করেছে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। এর ফলে নির্বাচনে লড়তে আর কোনো বাধা থাকল না সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের। গত সোমবার পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট এই রায় দেন। প্রধান বিচারপতি এই রায় দিয়ে বলেছেন, আগের সিদ্ধান্তের ফলে একজন নাগরিকের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল। ২০১৭ সালে নওয়াজ শরিফকে অসৎ পন্থা নেয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার পরের বছর এই নিয়ম চালু হয় যে, একবার ফৌজদারি অপরাধের জন্য শাস্তি পেলে সারা জীবনের জন্য শাস্তিপ্রাপ্ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। তাই তিনি আর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অবস্থায় ছিলেন না। গতবছর আদালত তার বিরুদ্ধে দুইটি রায় বাতিল করে দেয়। কিন্তু তারপরেও তিনি নির্বাচনে লড়তে পারছিলেন না। সুপ্রিমকোর্টের এই রায়ের ফলে ৭৪ বছর বয়সি নওয়াজ শরিফ ভোটে লড়তে পারবেন।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) নেত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের নেতা নওয়াজ শরিফের উপর থেকে সারা জীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞা এবার উঠল। অবিচারের শিকার হয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ।’ নওয়াজ শরিফের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল। ইমরান এখন জেলে। তার বিরুদ্ধে প্রচুর মামলা চলছে। তার উপরেও পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের রায়ের কোনো প্রভাব ইমরানের ওপর পড়বে না। কারণ, সুপ্রিমকোর্ট কেবলমাত্র সারা জীবনের জন্য যাদের রাজনীতি করা বন্ধ ছিল, তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিয়েছে।