ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কঙ্গো নদী অববাহিকায় বন্যা

তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু

তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু

কঙ্গো নদীর পানির স্তর ৬০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠায় অববাহিকাজুড়ে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে গত কয়েক মাসে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি) ও কঙ্গো রিপাবলিকে ৩০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ নগর পরিকল্পনা ও দুর্বল অবকাঠামো আফ্রিকার কিছু দেশ হড়কা বান মোকাবিলায় অক্ষম হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব দেশে ঘন ঘন ভারি বৃষ্টি হচ্ছে আর তাতে দেখা দিচ্ছে হড়কা বান বা আকস্মিক বন্যা। ডিআরসির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নদীপথ কর্তৃপক্ষের পানি বিশেষজ্ঞ ফেরি মোয়া জানান, তাদের দপ্তর ডিসেম্বরের শেষ দিকেই কঙ্গো নদীর পানির স্তর বাড়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেছিল; তখন তারা সতর্ক করে বলেছিল, রাজধানী কিনশাসার প্লাবনভূমির প্রায় পুরোটাই বন্যার কবলে পড়তে পারে। কিনশাসা কঙ্গো নদীর তীরবর্তী একটি শহর। গত বুধবার কিনশাসা পয়েন্টে নদীর পানি বেড়ে সমুদ্র সমতল থেকে ৬ দশমিক ২০ মিটার (২০.৩৪ ফুট) উচ্চতায় ওঠে। এর আগে ১৯৬১ সালে এই পয়েন্টে কঙ্গো নদীর পানি রেকর্ড ৬ দশমিক ২৬ মিটার উচ্চতায় উঠেছিল বলে মোয়া জানান। দেশের ভেতরের দিকে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টির পর নদীটিতে বন্যা দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি। নদীর আশপাশে বসবাসকারী মানুষ বাধ্য হয়েই এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে জানান মোয়া। কিনশাসার বেশ কয়েকটি এলাকা বন্যায় তলিয়ে গেছে। দেশের ১২টির বেশি প্রদেশ বন্যার কবলে পড়েছে বলে ডিআরসির সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়টি গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্যায় প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ৩ লাখের মতো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং লাখ লাখ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। প্রতিবেশী কঙ্গো রিপাবলিকের রাজধানী ব্রাজিভিলসহ আটটি বিভাগ বন্যাকবলিত হয়েছে ও অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে বন্যায় ৬০ হাজারের বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রাজিভিলও কঙ্গো নদীর তীরেই গড়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত