মশা দিয়ে মশা মারার কৌশল সুইজারল্যান্ডে

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

মশা মারতে কামান দাগার কথা আমরা শুনেছি। কিন্তু বিষে বিষক্ষয়ের মতো মশাকে কাজে লাগিয়ে মশা মারা গেলে কেমন হয়? সুইজারল্যান্ডে এক প্রকল্পে ঠিক সেই চেষ্টাই চালানো হচ্ছে। দেশটির একটি ল্যাবে এশিয়ান টাইগার প্রজাতির মশার সম্ভার দেখার মতো। লার্ভা থেকে শুরু করে পরিণত বয়সের মশার কোনও অভাব নেই। ইউরোপের অন্য কোনও মানুষের বোধহয় গবেষক এলেওনোরা ফ্লাসিওর মতো টাইগার মশার আচরণ সম্পর্কে এত গভীর জ্ঞান নেই।

বহু বছরের প্রস্তুতির পর এলেওনোরা এবার অসাধারণ এক পরীক্ষা শুরু করছেন। তিনি একেবারে নতুন পদ্ধতিতে এই মশার দ্রুত বংশবৃদ্ধি মোকাবিলা করতে চান। নির্বীজ নর মশা ছেড়ে তিনি সেই লক্ষ্য পূরণের কৌশল নিচ্ছেন। সুইজারল্যান্ডের দক্ষিণে ছবির মতো দেখতে গ্রাম মরকোটেতে গবেষকরা চলতি বছর ২০ লাখ এশিয়ান টাইগার প্রজাতির মশা ছাড়ছেন। মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এলেওনোরা ছোট এই গ্রামের প্রায় ৭০টি বিভিন্ন জায়গায় প্রতি সপ্তাহে কিছু মশা ছাড়ছেন। তবে লাখ লাখ মশা ছাড়া হলেও গ্রামের বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। এলেওনোরা বলেন, আসলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। এগুলো নর মশা; যা মানুষকে কামড়ায় না। শুধু উড়ে বেড়ায়। কয়েকদিন পরই মরে যায়। নর মশার এত কম আয়ুর কারণ স্পষ্ট। নির্বীজ করার প্রক্রিয়া, ল্যাবের ধকল ও পরিবহনের কারণে সেগুলো বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে আয়ু কম হওয়া সত্ত্বেও মাদী মশার কাছে সেগুলো আকর্ষণীয়।