গাজায় হামলার ঘটনাকে হলোকাস্টের সঙ্গে তুলনা

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হলোকাস্টের (ইহুদিনিধন) সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমন বক্তব্যের পর ব্রাজিল-ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। ইসরায়েলে নিযুক্ত ব্রাজিলের কূটনীতিককে দেশে ডেকে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল লুলাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ (অবাঞ্ছিত) ঘোষণা করেছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত ‘কোনো যুদ্ধ নয়, এটি গণহত্যা’।

তিনি এই সংঘাতকে জার্মান নাৎসি নেতা ‘হিটলারের ইহুদিনিধনের সিদ্ধান্তের’ সঙ্গে তুলনা করেন। ইসরায়েলের কট্টরপন্থি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, লুলা ‘সীমা অতিক্রম’ করেছেন। তার সরকার সোমবার সে দেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতকে জেরুজালেমে ইয়াদ ভাসেম হলোকাস্ট স্মৃতিকেন্দ্রে ডেকে পাঠিয়েছে। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎস তার সঙ্গে বৈঠক করেন। কাৎস লুলার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট তার মন্তব্য প্রত্যাহার না করায় বা ক্ষমা না চাওয়ায় তাকে ইসরায়েলে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ বা ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হলো। ইসরায়েলের পদক্ষেপের পাল্টা জবাব হিসেবে ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একই দিন ব্রাজিলে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েলের নিযুক্ত তাদের দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকেছে। ইসরায়েল সরকারের পদক্ষেপকে গুরুতর বলে ব্রাজিল সরকার মনে করছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে গতকাল পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৬০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন। একই সঙ্গে তারা প্রায় ২৫০ লোককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়।