জেলেনস্কিকে হত্যার চেষ্টা হয়নি : রাশিয়া

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের ওডেসায় গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধে ওই অঞ্চলের অবস্থা দেখাতেই তিনি সেখানে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাদের গাড়ির কনভয়ের মাত্র ৫০০ মিটার দূরে মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনের অভিযোগ, জেলেনস্কি এবং গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতেই এই আক্রমণ চালানো হয়। কিন্তু রাশিয়া তা অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ জানিয়েছেন, রাশিয়া চাইলে জেলেনস্কির গাড়ির উপরেই হামলা চালাত, গাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে নয়।

জেলেনস্কিকে হত্যার জন্য ওই আক্রমণ চালানো হয়নি। ইউক্রেন অবশ্য রাশিয়ার এই বক্তব্য মানতে নারাজ। এদিকে মলদোভার প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুধু ইউক্রেন নয়, প্রতিটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই একইরকম ব্যবহার করছে পুতিনের রাশিয়া। যে কোনও সময় তাদের উপরেও আক্রমণ নেমে আসতে পারে। জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি সম্প্রতি একটি জনমত সমীক্ষা করেছিল। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জার্মানির তৈরি দূরপাল্লার মিসাইল টরাস ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত কি না। জার্মান চ্যান্সেলর দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তবে সম্প্রতি জার্মান সেনার একটি কথপোকথন প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বলা হচ্ছে, ইউক্রেনকে এই মিসাইল পাঠানো হবে। এআরডির সমীক্ষা অনুযায়ী, ৬১ শতাংশ জার্মান মনে করেন ওই অস্ত্র ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত নয়। কারণ, এরপর রাশিয়া জার্মানিতে হামলা চালালে তা প্রতিহত করার যথেষ্ট ক্ষমতা জার্মানির নেই।

বস্তুত, ৭৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন জার্মানির প্রতিরক্ষা খরচ বাড়ানো উচিত। ওই খাতে বাজেট অনেকটাই বৃদ্ধি করা উচিত। যদিও মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এই খরচ মানুষের ওপর কর চাপিয়ে করা উচিত। অধিকাংশের বক্তব্য, অন্য়খাতে খরচ কমিয়ে অথবা ধার নিয়ে একাজ করা দরকার। মানুষের ওপর আরও করের বোঝা চাপিয়ে নয়। ২৯ শতাংশ মানুষ অবশ্য মনে করেন, টরাস মিসাইল ইউক্রেনকে দেওয়া উচিত। এরমধ্যে অধিকাংশই গ্রিন এবং এফডিপি দলের সমর্থক। বস্তুত, এই দুই দলও তা-ই মনে করে।