অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর হামলায় নিহত ২০০০ জন

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী প্রায় ২১০টি গণহত্যা চালিয়েছে। যার ফলে ২০২১ সালের মধ্যে ২ হাজারের বেশি মানুষকে তারা হত্যা করেছে। শাসকের হাতে বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা পর্যবেক্ষণকারী ‘ন্যান লিন থিট অ্যানালিটিকা’ গ্রুপের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।

এদিকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকর্মীরা বলেছেন, ‘জাতিসংঘ এবং বাকি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে সামরিক শাসনকে তাদের নিজের জনগণকে নির্বিচারে ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে উৎসাহিত করেছে। ‘ওয়াচডগ’ গত শুক্রবার বলেছে, মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ২১০টি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে মোট ২ হাজার ৭৯ জন নিহত হয়েছে। গবেষণা দলটি এটিকে গণহত্যা বলে সংজ্ঞায়িত করেছে কারণ, প্রত্যেক ঘটনার ক্ষেত্রে একই সঙ্গে পাঁচ বা তার বেশি নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। গবেষণা সংস্থাটি আরো বলেছে, জান্তা বাহিনীর নিরীহ বেসামরিকদের হত্যা করে গণহত্যা চালিয়েছে। মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে অর্ধেকেরও বেশি গণহত্যার খবর পাওয়া গেছে। যেখানে অনেক জান্তা বিরোধী দল মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোন এবং বিস্ফোরক ডিভাইসের সাহায্যে তীব্র সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র চার মাসের মধ্যে জান্তা বাহিনী সারা দেশজুড়ে ৩৭টি গণহত্যা করেছে, যার মধ্যে ২৮৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। ২৮৩ জন নিহতের মধ্যে ১৪২ জনকে জান্তার পদাতিক বাহিনী হত্যা করেছিল। তখন জান্তা বাহিনী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল এবং ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে’ তারা অভিযান চালিয়ে গ্রামগুলো পুড়িয়ে দেয়। জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় তখন ১২৬ জন নিহত হয়।