ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাজায় সাগরপথে পৌঁছেছে ত্রাণ

গাজায় সাগরপথে পৌঁছেছে ত্রাণ

প্রথমবারের মতো সাগর পথে যাওয়া একটি বার্জ থেকে ত্রাণসামগ্রী নামানো হয়েছে গাজা উপকূলে। গাজার বিপন্ন মানুষদের জন্য স্প্যানিশ জাহাজ ওপেন আর্মস ২০০ টন খাদ্য সহায়তা নিয়ে গত মঙ্গলবার সাইপ্রাস ছেড়েছিল। জাতিসংঘ এরইমধ্যে সতর্ক করে বলেছে, গাজা এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বার্জ থেকে ক্রেনে করে খাদ্যবাহী ক্রেটগুলো টেনে লরিতে তোলা হচ্ছে। খবর বিবিসির। মূলত সড়কপথে ও বিমানযোগে ত্রাণ দেয়া কঠিন হয়ে পড়ায় সাগর পথে নেয়াটা কার্যকর হয় কি না সেটিই দেখা শুরু হলো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) চাল, গম, সবজি, প্যাকেটজাত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বহনকারী কার্গো নিয়ে এ মিশন পরিচালনা করছে।

গাজায় সচল কোনো বন্দর নেই। সে কারণে ডব্লিউসিকে উপকূলে একটি জেটি তৈরি করতে হয়েছে। তবে কীভাবে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। ব্লিউসিকের প্রতিষ্ঠাতা সেলেব্রিটি শেফ হোসে আন্দ্রেজ সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন বার্জগুলো থেকে সব খাবার ১২টি লরিতে তোলা হয়েছে। ‘আমরা এটা করেছি’- লিখেছেন তিনি। একই সাথে বলেছেন, পরবর্তী শিপমেন্টে আরও সহায়তা আনা যায় কি না এটি ছিলো তারই একটি পরীক্ষা- ‘সপ্তাহে হাজার হাজার টন’। ইয়েল এক বিবৃতিতে বলেছে, ওপেন আর্মস নৌযান ও এর কার্গো সাইপ্রাসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে এবং উপকূলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে। দা ওপেন আর্মস চ্যারিটি জাহাজটি পরিচালনা করছে। তারা শুক্রবার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, তাদের টিম রাতভর কাজ করছে ত্রাণসহায়তা স্থলভাগে নেয়ার জন্য। গত ঙ্গলবার জাহাজটি লারনাকার বন্দর ছাড়ার পর থেকেই ত্রাণ সরবরাহের বিষয়টি প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। সাগর পথের এ অভিযান সফল হলে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরও সহায়তা একইভাবে গাজায় আসার কথা রয়েছে। সব জাহাজ ওই অঞ্চলে সরাসরি যাওয়ার জন্য নতুন একটি রুট চালু করা হয়েছে সাগর পথে। এছাড়া সাগর পথে উপকূলে আরও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্র একটি ভাসমান ডক তৈরির পরিকল্পনা করছে। একটি সামরিক নৌযান ভাসমান ডক বানানোর প্রয়োজনীয় উপকরণ নিয়ে রওনা দিলেও অন্যান্য উপকরণগুলোর বিষয়ে পরিকল্পনা কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত