যুদ্ধবিরতির লক্ষণ নেই গাজায় চলছে গণহত্যা

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

টানা প্রায় ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে চলছে গণহত্যা। ইসরায়েলের চালানো হত্যাযজ্ঞে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি বর্বর আগ্রাসনের বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে তাদের বিরুদ্ধে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে আন্তর্জাতিক শান্তি সংস্থা জাতিসংঘে। গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের যুদ্ধবিরোধিতার পরও গাজায় বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যা পোর্টিউর ফ্রাসেস্কা আলবানিজ বলেছেন, ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী যে অভিযান চালাচ্ছে, তা গণহত্যা। এজন্য তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে কেউ যেন ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ না করে সেই আহ্বানও জানিয়েছেন। মানবাধিকার পরিষদের ওই অধিবেশনে যোগ দেয়নি ইসরায়েল। তবে তারা তার এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আলবানিজ বলেন, আমার একান্ত দায়িত্ব হলো মানবতার পক্ষে কথা বলা। সবচেয়ে খারাপ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়া। ফলাফল উপস্থাপন করা। জেনেভায় ‘দ্য অ্যানাটমি অব এ জেনোসাইড’ শীর্ষক প্রতিবেদন দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হচ্ছে- এটা বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ আছে। এদিকে ইউনিসেফের মুখমাত্র জেমস এল্ডার জানিয়েছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরেও গত দুই দিন ধরে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে চরম হতাশ গাজাবাসী। তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পর আশায় জেগেছিলেন ক্ষুধার্ত গাজাবাসী। কিন্তু ইসরায়েলের বিরামহীন হামলায় সবকিছু নিরাশায় রূপ নিয়েছে। অন্যদিকে বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে সাগরে ফেলা ত্রাণ আনতে গিয়ে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি পানিতে ডুবে গেছেন।

গত সোমবার বেঈত লাহিয়া উপকূলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্যারামেডিকরা। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, সাগরে ত্রাণ ফেলার পর সেগুলো আনতে দৌড়াদৌড়ি করছেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। অপর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ডুবে যাওয়া মানুষদের উদ্ধার করে তীরে আনা হয়েছে এবং তাদের বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ইসরায়েলের দেওয়া বর্তমান প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। এর জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। প্রস্তাব পাসের বিষয়টি গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।