গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য বাইডেনের চাপ

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে হামাসকে তাগাদা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশরের প্রতিনিধিদের কাছে গত শুক্রবার পাঠানো এক চিঠিতে এই আহবান জানান তিনি। কায়রোয় যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রাক্কালে মার্কিন এক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে আবার যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে বলে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে।

হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতি চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিশরের আমন্ত্রণে আগামী রোববার কায়রো যাচ্ছে বলে ফিলিস্তিনি সংগঠনটির একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতার গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়া নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছে। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসের আগে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে তারা ব্যর্থ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই কায়রোতে নতুন করে আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউস গত শুক্রবার জানিয়েছে, কায়রোতে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে আলোচনা হবে। তবে আলোচনায় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কারমেলের সঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা সিআইয়ের পরিচালক বিল বার্নস যোগ দেবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। এর আগে বাইডেন গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে টেলিফোনে বলেছেন, হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবশ্যই সব কিছু করা হবে। এদিকে গাজায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ত্রাণ সহায়তা সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডাব্লিউসিকে) ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল। এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য পশ্চিমা চাপের মুখে ছিল ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী অবশ্য দাবি করেছে, হামাসের গাড়ি মনে করে ভুলক্রমে ত্রাণকর্মীদের বহনকারী গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। তবে প্রাসঙ্গিক তথ্য-প্রমাণে এই দাবির সত্যতার প্রমাণ মেলেনি বলে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।