কেনিয়ার প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে দেশটির সরকার ও রেডক্রস জানিয়েছে। কেনিয়ায় মার্চ থেকে শুরু হওয়া বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। একই কারণে প্রতিবেশী তাঞ্জানিয়া ও বুরুন্ডিতেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কেনিয়ার প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে গত বুধবার দেশটির সরকার ও রেডক্রস জানিয়েছে।
প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ঘরবাড়ি, রাস্তা, সেতু ও অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। কেনিয়ায় এবারের বন্যায় মৃতের সংখ্যা গতবারের এল নিনো আবহাওয়াজনিত কারণে হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের মৃত্যুকে ছড়িয়ে গেছে, জানিয়েছে রয়টার্স। কেনিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর মাই মাহিউতে সোমবার হড়কা বানে অন্তত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়। গত বুধবার আবর্জনার মধ্যে দু’টি লাশ পাওয়া গেছে বলে রেডক্রস জানিয়েছে। রেডক্রসের এক কর্মকর্তা জানান, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকারী কুকুর নিয়ে তল্লাশি অভিযানে যোগ দিয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় সকালে দেশটির সরকারের মুখপাত্র ইসহাক মাউরা জানিয়েছিলেন, মৃতের সংখ্যা আরও ১০ জন বাড়ায় মোট মৃত্যু ১৭৯-তে দাঁড়িয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে পূর্ব আফ্রিকার সবচেয়ে মারাত্মক খরা চলার পর গত বছর সেখানে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। রাজধানী নাইরোবি থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে কিতেঙ্গেলা শহরে বন্যায় ডুবে যাওয়া ঘরবাড়িতে আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে রেড ক্রসের কর্মীরা সাহায্য করছে। তারা নাইরোবি থেকে ২১৫ কিলোমিটার দূরে নারোকের একটি ক্যাম্পে আটকা পড়া পর্যটকদেরও উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কেনিয়ার জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কিতেঙ্গেলা শহরমুখী মহাসড়কের একটি অংশ এবং দেশের আরো অন্তত তিনটি সড়ক বন্যা ও তার সঙ্গে আসা আবর্জনার কারণে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।