কিমের ‘প্লেজার স্কোয়াড’

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন প্রতিবছর ২৫ জন কুমারীকে তার ‘প্লেজার স্কোয়াডের’ জন্য নির্বাচিত করেন। এই কুমারীদের চূড়ান্ত করা হয় সৌন্দর্য ও পারিবারিক স্ট্যাটাসের ওপর ভিত্তি করে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর শারীরিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের কুমারিত্বের প্রমাণ দিতে হয়। কিমের প্লেজার স্কোয়াডের জন্য মনোনীত তরুণী ইয়েনমি পার্কের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ জাতীয় দৈনিক ট্যাবলয়েড মিরর। ইয়েনমি জানান, পারিবারিক স্ট্যাটাসের কারণে তিনি চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছাতে পারেননি। মিররকে তিনি জানিয়েছেন, সুন্দর কেউ যেন বাদ না পড়ে সেজন্য তারা স্কুলের কোণায় কোণায় তালাশ করতে ভুল করে না। যখন তারা সুন্দর মেয়েদের খুঁজে পায়, প্রথমে তারা যেটি করে সেটি হলো পারিবারিক ও রাজনৈতিক স্ট্যাটাস যাচাই করে। উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা বা দক্ষিণ কোরিয়া বা অন্য দেশে আত্মীয়স্বজন আছে এমন কোনো মেয়েকে তারা শুরুতেই বাদ দিয়ে দেয়। ইয়েনমি পার্ক দাবি করেন, যখন কেউ নির্বাচিত হয় তখন তাকে শারীরিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হয় যে, সে কুমারী। এই পরীক্ষার সময় সামান্যতম খুঁত থাকলেও সে অকৃতকার্য হয়। কঠোর পরীক্ষার পর সারা দেশ থেকে সামান্য কয়েকজনকে পিংইয়ংয়ে পাঠানো হয় কিমের মনোবাসনা পূরণ করতে। স্কোয়াডকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় বলেও জানান ইয়েনমি।

তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে একদলকে ম্যাসাজে দক্ষ করে তোলা হয়। আরেক দলের কাজ থাকে নাচ ও গান পরিবেশন করা। তৃতীয় দল কিম ও তার অনুগতদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্কোয়াডের কারও বয়স যখন বিশের মাঝামাঝি হয়, তখন তার ভূমিকা শেষ হয়ে আসে।

তাদের কেউ কেউ তখন নেতার দেহরক্ষীদের বিয়ে করে থাকেন। ইয়েনমি বলেন, ‘এই প্লেজার স্কোয়াডের যাত্রা শুরু সত্তরের দশকে কিমের বাবা কিম জং-২ এর আমল থেকে। কিমের বাবা বিশ্বাস করতেন, যৌন ঘনিষ্ঠতা তাকে অমরত্ব দেবে। যদিও ২০১১ সালে মাত্র ৭০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে তিনি প্রাণ হারান।’