পাকিস্তানের সেনা অভিযানে নিহত ৩০ তালেবান

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সম্প্রতি খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান সীমান্তে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০ তালেবান জঙ্গিকে হত্যার দাবি করেছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী গত বুধবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, আফগানিস্তান থেকে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা এবং আন্তঃসীমান্ত জঙ্গি অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তাদের অভিযানে গত মাসে প্রায় ৩০ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। খবর ভয়েজ অব আমেরিকার।

২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘আফগানিস্তান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে’ বলে যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর এ ঘোষণা এলো। চলমান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান সীমান্ত প্রদেশের কিছু অংশের ওপর নজর রাখছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, এক সপ্তাহ আগে একটি অভিযানে সেনাবাহিনীর একজন মেজরও নিহত হয়েছিলেন। ইসলামাবাদ আফগান অংশে কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে কাবুলের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, তালেবান সরকার তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে সন্ত্রাসীদের আফগানিস্তানকে ব্যবহার করতে দেবে না বলে আশা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের এই দাবির বিষয়ে আফগান কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগে তালেবান এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, প্রতিবেশী দেশ বা এর বাইরে কাউকে হুমকি দেয়ার জন্য তারা কাউকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। পাকিস্তান বরাবরই বলে আসছে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপির পলাতক কমান্ডার ও যোদ্ধারা আফগানিস্তানের অভয়ারণ্য ব্যবহার করে নিরাপত্তা বাহিনীসহ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, টিটিপি এবং অন্য আঞ্চলিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় আছে এবং তাদের কার্যক্রমে তালেবানের কাছ থেকে কিছু বাধার মুখোমুখি হচ্ছে যাদের সঙ্গে তাদের মূল আদর্শে মিল আছে। আফগানিস্তানে আল-কায়েদা কর্মীদের সঙ্গে তালিবানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আল-কায়েদা নেতারা এখন তালেবানের প্রশাসনিক কাঠামোর অংশ এবং আফগানিস্তানে তাদের নিজস্ব প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করছে।