চিরনিদ্রায় শায়িত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

* নিজ জন্মস্থান মাশহাদে ইমাম রেজার মাজারে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে * প্রায় ৩০ লাখ মানুষের ভিড় ঠেলে মরদেহবাহী গাড়ির মাজারে পৌঁছাতে লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে দাফন করা হয়েছে। নিজ জন্মস্থান মাশহাদে ইমাম রেজার মাজারে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে এই প্রেসিডেন্টকে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাইসির স্বজনসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। তেহরানের শাহ আব্দল আজিম হাসানির মাজারে দাফন করা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দোল্লাহিয়ানের মরদেহ। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে সড়কে অবস্থান নেন মাশহাদের বাসিন্দারা। আর্তনাদ আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ। জনসমুদ্রে পরিণত হয় সড়ক। প্রায় ৩০ লাখ মানুষের ভিড় ঠেলে মরদেহবাহী গাড়ির মাজারে পৌঁছাতে লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা। মাশহাদে নেয়ার আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে তেহরান থেকে রাইসির মরদেহবাহী কফিন নেয়া হয় ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর বিরজান্দে। প্রিয় প্রেসিডেন্টকে শেষ বিদায় জানাতে শহরটিতেও নেমেছিল শোকাহতদের ঢল। শোক র‌্যালিতে অংশ নিতে বিভিন্ন শহর থেকে কালো পোশাকে ছুটে আসেন ইরানিরা। অন্যদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দোল্লাহিয়ানকে দাফন করা হয় তেহরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে অবস্থিত শাহ আব্দল আজিম হাসানির মাজারে, যাতে অংশ নেন হাজারও ইরানি।

দাফনের আগে শেষবার শ্রদ্ধা জানানো হয় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে। প্রয়াত এই কূটনীতিককে শেষ বিদায় জানান সহকর্মীরা। গত বুধবার রাজধানী তেহরানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরবিদায় জানানো হয় প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ নিহত সবাইকে। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ইমামতিতে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় জানাজা। ঐতিহাসিক বিপ্লবি স্কয়ার থেকে শুরু হয় শোক র‌্যালি। পরে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরদেহ রাখা হয় আজাদি স্কয়ারে।